বাবা হত্যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছেলে হাইকোর্টে খালাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাগেরহাটের মোল্লাহাটের কোদালিয়া গ্রামে বাবাকে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ছেলেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২৭ মার্চ (রোববার) আসামির আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে, ২৩ মার্চ এ মামলার ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আসামির আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ ও শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী।

আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে আইনজীবী শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু বলেন, ‘বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল মঞ্জুর করে তাকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে আমরা বলেছি, হত্যাকাণ্ডের সময় আসামি মানসিক ভারসাম্যহীন থাকা সত্ত্বেও বিচারিক আদালতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আইনে বলা আছে- শুধুমাত্র স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া যাবে না। কোনরকম ডাক্তারি পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের সনদ ছাড়াই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এরপর রায়ে আদালত আসামির আপিল মঞ্জুর করে তাকে খালাস দিয়েছেন।’

পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট ভোরে তুহিন কাজী তার বাবা আবু সাঈদ কাজীকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় আবু সাঈদের মেয়ে সুমি আক্তার ভাই তুহিন কাজীকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তুহিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশ। পরে মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট বাগেরহাটের বিচারিক আদালত তুহিনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

পরে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি খালাস চেয়ে আপিল করেন। আজ আদালত আসামির সেই আপিল মঞ্জুর করে তাকে খালাস দিলেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম