বিজ্ঞাপন

কাপ্তাই হ্রদের পানি সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত

March 30, 2022 | 8:54 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাঙ্গামাটি: কাপ্তাই হ্রদের পানির ওপর নির্ভর করে দেশের একমাত্র জল বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। হ্রদে পানির পরিমাণ বেশি থাকলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বেড়ে যায়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদ যখন পানিতে টইটম্বুর থাকে, তখন চারটি ইউনিট পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অচল থাকলে বাকি চারটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় ২৩০ মেগাওয়াট।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। হ্রদে পানির পরিমাণ কমতে থাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ১, ৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট বর্তমানে বন্ধ। এরমধ্যে ১ নম্বর ইউনিট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগে থেকে অচল রয়েছে। কিন্তু অন্য চারটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও পানি সংকটের কারণে দুইটি ইউনিটে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। হ্রদের পানির পরিমাণ কমতে শুরু করলে আরও দুইটি ইউনিটের উৎপাদনও বন্ধ রাখতে হবে। তবে যদি বৃষ্টিপাত হয় অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন শাখা সূত্রে জানা গেছে, রুলকার্ভ অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল (মীনস সি লেভেল)। কিন্তু বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পানি আছে ৮৫ দশমিক ৫১ এমএসএল। ৫টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুইটি ইউনিট সচল রয়েছে। এরমধ্যে ২ নম্বর ইউনিটে বর্তমানে ৩৫ মেগাওয়াট এবং ৩ নম্বর ইউনিটে ৩৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। হ্রদে পানি কম থাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবগুলো ইউনিট একযোগে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের বলেন, ‘আপাতত কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। সচরাচর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বৃষ্টি হয় না, যে কারণে গত দুইমাস ধরেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে হ্রদের পানি কমছে। প্রতিবছরই খরার সময়ে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যায়, তখন কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিটের সংখ্যা কমিয়ে দেয়। তবে কোনো কোনো সময় জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসেও ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। সে রকম হঠাৎ করে বৃষ্টি নামলে কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। তখন বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি করা হবে। এখন বৃষ্টির অপেক্ষায় আকাশের দিকে চেয়ে থাকা ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের আপাতত কিছু করার নেই।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন