বিজ্ঞাপন

৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স মার্চে

April 3, 2022 | 8:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সদ্য বিদায়ী মার্চ মাসে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছের ১৮৬ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (১ ডলার ৮৬ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ১৫ হাজার ৯৯৬ কোটি  টাকা। গত আট মাসের মধ্যে মার্চেই এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো দেশে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এরপর আর কোনো মাসেই এত বেশি রেমিট্যান্স আসেনি দেশে। আর সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৫২৯ কোটি ৪ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তিনি সারাবাংলাকে বলেন, রেমিট্যান্সের ওপর সরকারের প্রণোদনা বেড়েছে। এছাড়া পবিত্র রমজান এবং ঈদকে ঘিরে করে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দুই-তিন মাসে রেমিট্যান্স থাকবে ঊর্ধ্বগতির ধারায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চ মাসের মোট রেমিট্যান্সের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে এসেছে ৩৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৮ লাখ ডলার। এর বাইরে ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৪৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। আর পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা প্রায় ২৫ শতাংশ রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।

এরও আগে, গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। আর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রবাসীরা ১৬২ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এছাড়া নভেম্বরে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এবং আগস্টে ১৮১ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। সব মিলিয়েই শেষ আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো মার্চ মাসে।

২০২১ সালের শুরু থেকে অবশ্য রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশ ভালো ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। এরপর ফেব্রুয়ারিতে তা কমে ১৭৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারে নেমে আসে। তবে মার্চ থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করে। গত বছরের মার্চে রেমিট্যান্স আসে ১৯১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার, এপ্রিলে তা বেড়ে হয় ২০৬ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। মে মাসে রেমিট্যান্স আসে আরও বেশি— ২১৭ কোটি ১১ লাখ ডলার। আর জুনে রেমিট্যান্স আসে ১৯৪ কোটি ৮ লাখ ডলারে। সব মিলিয়ে গত বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ১৮৪ কোটি ১২ লাখ ডলার।

বিজ্ঞাপন

অর্থবছরভিত্তিক রেমিট্যান্স

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১ হাজার ৬৩১ কোটি ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

পঞ্জিকা বছর হিসাবে রেমিট্যান্স

২০২১ সালে করোনার মধ্যেও প্রবাসীরা অতিথের সব রেকর্ড ভেঙে রেমিট্যান্স পাঠান ২ হাজার ২০৭ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। এর আগে, ২০২০ সালে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এছাড়া ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি মার্কিন ডলার, ২০১৮ সালে ১ হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার এবং ২০১৫ সালে ১ হাজার ৫৩১ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন