বিজ্ঞাপন

অবৈধভাবে ভূমি দখল চেষ্টা প্রতিরোধে নতুন আইন হচ্ছে

April 16, 2022 | 11:24 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অবৈধভাবে ভূমির দখলগ্রহণ, বা দখলগ্রহণের চেষ্টা প্রতিরোধের জন্য নতুন আইন করা হচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২২’ নামে একটি আইন করবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৬ এপ্রিল) ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অবৈধভাবে ভূমির দখল গ্রহণ, ক্ষতিসাধন করতে পেশী শক্তি, দেশীয় অস্ত্র অথবা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে যে ধরনের অপরাধ করা হয় তা প্রতিরোধে এবং দ্রুত প্রতিকার নিশ্চিতে এই আইন করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, এই আইনের প্রাথমিক খসড়া মতামতের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করলে নাগরিকদের মতামতের উপর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে বেশকিছু সুপারিশ উঠে আসে। আলোচনার মাধ্যমে প্রাপ্ত সুপারিশগুলোর ভিত্তিতে প্রাথমিক খসড়া বিলটি প্রয়োজনীয় সংশোধন করে সংশোধিত খসড়া প্রথমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ভাষা প্রমিতীকরণের জন্য পাঠানো হবে। প্রমিতীকৃত খসড়াটি পরবর্তী সময়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর মধ্যে দিয়ে আইন প্রণয়নের পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।

আইনের দুটি উদ্দেশ্য হচ্ছে– ব্যক্তি মালিকানাধীন বা সরকারি খাসভূমিসহ সরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মালিকানাধীন ভূমিতে প্রকৃত মালিকদের স্বত্ব ও দখলভোগ নিশ্চিত করা; এবং, ভূমিলিপ্সু কোনো ব্যক্তির জালিয়াতি বা প্রতারণামূলক ও অন্যের সঙ্গে যোগসাজশে সৃষ্ট দলিলমূলে বা কোনো দলিল ছাড়া ওই ব্যক্তি কর্তৃক অবৈধভাবে ভূমির দখলগ্রহণ, বা দখলগ্রহণের চেষ্টা বা এর ক্ষতিসাধন রোধ করা। এ প্রসঙ্গে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বলেছেন, ‘মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের দ্রুত আইনি প্রতিকার বা ন্যায়সঙ্গত সমাধানের ব্যবস্থা করা সুবিচার নিশ্চিতের জন্য অপরিহার্য।’

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টরা জানায়, আইনটি সংসদে পাঠানোর আগের ধাপগুলোর মধ্যে রয়েছে- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, এবং প্রয়োজনে আইন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী পরিমার্জন করে সংশ্লিষ্ট বিলটি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে পাঠাবে। সংসদে বিলটি স্পিকার কর্তৃক উত্থাপন হবে। অর্থবিল না হওয়ার কারণে উত্থাপনের জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের দরকার হবে না বলেও সংশ্লিষ্টরা জানায়।

এরপর উত্থাপিত বিলটি নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে। প্রয়োজনে সংসদ কর্তৃক স্থায়ী কমিটি অথবা বাছাই কমিটির কাছে বিলটি পাঠানো, এবং রিপোর্টসহ ফের সংসদে বিবেচনার জন্য তথা বিলটি পাসের জন্য পেশ করা হবে।

আসন্ন বাজেট অধিবেশনে বিলটি সংসতে উত্থাপন হতে পারে। বিল পাস হওয়ার পর স্পিকার এতে সই দান করবেন। এরপর বিলটি রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২২’ বিলটি জাতীয় সংসদের একটি আইন হিসেবে সরকারি গেজেটে ছাপা হবে। এভাবে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন শীর্ষক বিলটি আইনে পরিণত হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন