বিজ্ঞাপন

‘ব্যবসায়িক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতেই ইন্দোনেশিয়া ফেয়ার’

April 17, 2018 | 4:24 pm

।। এম এ কে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘উন্নয়নের খাতিরে বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়ার মানুষের মধ্যে সংযোগ বাড়াতে হবে। দুই দেশের মানুষের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে ঢাকার ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস বছরব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এ উদ্দেশ্য আগামী ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল ‘ইন্দোনেশিয়া ফেয়ার-২০১৮’ নামে একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই দেশের মানুষের মধ্যে সংযোগ বাড়বে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে সংযোগ ঘটবে। বাড়বে ব্যবসায়ীকসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কও।’

বাংলাদেশে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোমারনো সারাবাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপে ‘ইন্দোনেশিয়া ফেয়ার ২০১৮’ সম্পর্কে ওপরের কথাগুলো বলেন।

গত জানুয়ারিতে ঢাকা সফর করেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডোর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কীভাবে আরও ঘনিষ্ঠ করা যায় সে বিষয়ে কথা হয় জানিয়ে রিনা পি সোমারনো বলেন, ‘বলতে পারেন, ‘ইন্দোনেশিয়া ফেয়ার ২০১৮’ রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডোর ঢাকা সফরের পরবর্তী ফলোআপ। দুদেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে শীর্ষ প্রধানদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে ইন্দোনেশিয়া ফেয়ার তারই একটি প্রতিফলন।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের নাগরিকরা ২০১৫ সাল থেকে অন এরাইভ্যাল ভিসা নিয়ে (একটানা সর্বোচ্চ ৩০ দিন) ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোমারনো বলেন, ‘পর্যটন এমনই একটি খাত যার মাধ্যমে দুদেশের মানুষ অনেক ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আসতে পারে। সামনের ইন্দোনেশিয়া ফেয়ার এ পর্যটন নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ থাকবে। ইন্দোনেশিয়া ফেয়ায়ে আমাদের পর্যটনমন্ত্রী এবং এই খাতের ব্যবসায়ী ও ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরাও থাকবেন। ‘ওয়ান্ডারফুল ইন্দোনেশিয়া’ এবং ‘টেন নিউ বালিস’ শীর্ষক ইন্দোনেশিয়া পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ পরিবেশনাও থাকবে সেখানে।’

ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন খাত অনেক এগিয়ে থাকলেও এই খাতের আরও উন্নয়নে বাংলাদেশ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া অনেক বড় দেশ। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতটি আমাদের। কিন্তু সেটা কোনোভাবেই কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের সঙ্গে তুলনীয় নয়। কেন না কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম এবং স্বাস্থ্যকর স্থান। আবার বাংলাদেশের খুবই আকর্ষণীয় ম্যানগ্রোভ বন (সুন্দরবন) রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ারও ম্যানগ্রোভ বন রয়েছে কিন্তু তা বাংলাদেশের মতো এতোটা সমৃদ্ধ নয়। দুই দেশের পর্যটন স্থানগুলো সম্পর্কে দুই দেশের জনগণ পুরোপুরি জানে না। এই জানাশোনার জায়গায় জোর দিতে হবে। বেশিরভাগ বাংলাদেশিই ইন্দোনেশিয়া সফরে গেলে বালি ভ্রমণ করেন। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় বালি থেকেও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

‘ইন্দোনেশিয়া ফেয়ার ২০১৮’ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মূলত এটি একটি বাণিজ্য মেলা, সামনের ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে। এই মেলায় ইন্দোনেশিয়ার ৪৫টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। তাদের মধ্যে অটোমোটিভ, ভ্রমণ ও পর্যটন, ফ্যাশন, জুয়েলারি, শিল্প, জ্বালানি ও তেল বিষয়ক স্টল থাকবে মেলায়। তা ছাড়া মেলাটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’

মেলায় অংশ নেওয়া দর্শকদের জন্য সেলফি তুলে আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নেওয়ারও সুয়োগ রয়েছে।

এসব তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মেলায় আলোচনা, ফ্যাশন শো, শর্ট ফিল্ম প্রদশর্নী, নৃত্যানুষ্ঠান, খাবার প্রদর্শনীসহ অনেক চমকপ্রদ আয়োজন থাকবে। ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার লিটা বার্লিয়ান্তি মেলায় তার সর্বশেষ কাজ প্রদর্শন করবেন।

এ ছাড়া ঢাকাবাসী সংগঠনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মেলায় ইন্দোনেশিয়ার আচেহ, পাপুয়া, পশ্চিম জাভা, জাকার্তা, কালিমান্থান এবং উত্তর সুমেতরা, এই ৬টি অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করা হবে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

রিনা পি সোমারনো বলেন, ‘এতে দুই দেশের ১০০ ব্যবসায়ীর মধ্যে একটি মতবিনিময় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যাতে ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে পারে। এই মেলার মাধ্যমে ৫০ জন ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী তাদের বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে খুজে নেবে।’

রিনা পি সোমারনো জোর দিয়ে বলেন, ‘দুই দেশের মানুষ নিজেদেরকে খুব বেশি জানে না। এই জানার জায়গা, মানুষে মানুষে সংযোগের জায়গায় জোর দিতে হবে। এখানেই আমাদের কাজ করতে হবে। ‘ইন্দোনেশিয়া ফেয়ার ২০১৮’ ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে।’

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন