April 17, 2018 | 7:51 pm
।।স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: রাজধানীতে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানো রাজীবের মৃত্যুর একদিন না যেতেই এবার বাস-ট্রাকের চাপায় হাত বিছিন্ন হলো খালিদ হাসান হৃদয় (২০) নামের এক তরুনের।
মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের বেতগ্রাম এলাকায় বাস-ট্রাকের চাপায় পড়ে শরীর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার।
আহত হৃদয়ের বাবা রবিউল ইসলাম জানান, টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস নামের একটি পরিবহনের হেলপারের কাজ করতো তার ছেলে। মঙ্গলবার সকালে হৃদয় টুঙ্গীপাড়া থেকে গোপালগঞ্জ পাচুড়িয়ার পরিবহনের অফিসে যাচ্ছিল সে। এ সময় দুর্ঘটনায় তার হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ( ঢামেক) ভর্তি করা হয়।
টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেসের যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী রাহিমা মনি জানান, তিনিও ওই বাসেই ছিলেন। বাসের পেছনের দুই আসনের আগেই বসেছিল হৃদয়। এ সময় বাসের জানালার হাত রাখা ছিল তার।
দুর্ঘটনার সময় বাসে থাকা আরেক হেলপার স্বপন জানায়,বাসটি বেতগ্রাম পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় বাসটির পেছনের অংশে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে নিচে পড়ে যায়। এসময় জানালার কাঁচে লেগে তার মুখ ও নাক কেটে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়।
ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোঃ আল্লাউদ্দিন জানান, হৃদয়ের ডান হাত বিচ্ছিন ছাড়াও মুখমণ্ডলে আঘাত আছে। তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আগে তাকে রক্ত দেওয়া হবে। পরে তার ক্ষত স্থানগুলো খুলে দেখা হবে।
হৃদয়ের বাবা রবিউল ইসলাম একই বাসের সুপারভাইজারের চাকরি করেন। তিনি জানান, দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে তার ছেলে । পরে আর পড়াশুনা করতে রাজি না হওয়ায় টুঙ্গীপাড়া পরিবহনের বাসে হেলপারের চাকরিতে ঢুকিয়ে দেন। তার চার ছেলেমেয়ের মধ্যে হৃদয় সবার ছোট বলেও জানান গোপালগঞ্জের কাড়ারগাতী গ্রামের রবিউল ইসলাম।
সারাবাংলা/এসআর/জেডএফ/এমএস