বিজ্ঞাপন

‘ক্ষমতা নয়, দেশকে মুক্ত করার আন্দোলনে নেমেছি’

May 4, 2022 | 4:42 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা (বিএনপি) আন্দোলনে নেমে গেছি। এই আন্দোলন ক্ষমতার আন্দোলন নয়। দেশকে মুক্ত করার আন্দোলন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদিবাগে নিজ বাসভবনে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।

বিএনপির অন্যতম নীতিনির্ধারক আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘হাজারো নেতাকর্মী এসেছেন, সাধারণ মানুষ এসেছেন। জনগণ যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে একতাবদ্ধ হচ্ছে, সেটাই আন্দোলনের লক্ষ্য। মানুষ কথা বলতে শুরু করেছে। মানুষ এখন প্রতিবাদ করছে, প্রতিরোধ করছে। এটা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।’

‘এই যে সংগ্রামে মানুষ নেমেছে, এটার শেষ পর্যন্ত যেতে হবে, দেশটাকে মুক্ত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এটা ক্ষমতার আন্দোলন নয়, এটা দেশ মুক্তির আন্দোলন। এটা গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলন। মানুষের অধিকারের আন্দোলন। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সাংবিধকানিক অধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন। এটা ক্ষমতার আন্দোলন নয়’- বলেন আমীর খসরু।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, তারাই দেশ পরিচালনা করবে। আমরা চাই একটি নির্বাচিত সরকার, বৈধ সরকার, জনগণের কাছে যার জবাবদিহি থাকবে। জনগণের মধ্যে গণতন্ত্রের যে স্পিরিটটা, সেটা আমরা ফিরে পেতে চাই।’

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এবং আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতারা ছিলেন।

এর আগে, মঙ্গলবার আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সকালে নগরীর কাট্টলীতে নিজ বাড়ির সামনে মসজিদে ইদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। ইদের দিনটি পিতৃভূমিতে নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কাটিয়ে বুধবার তিনি মেহেদিবাগের বাসভবনে আসেন। ইদের পর দিন নেতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে প্রতিবছরের মতো এবারও লোকে লোকারণ্য খসরুর বাসা। সেই বাসার সামনের আঙিনা পেরিয়ে দুপুরে লোক সমাগম দেখা গেছে সামনের সড়কেও। পরোটা-গোশত দিয়ে আপ্যায়ন করা হচ্ছে লোকজনকে।

বিজ্ঞাপন

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটা আমার দীর্ঘদিনের পারিবারিক ট্র্যাডিশন। কাউকে বলতে হয় না। সবাই ইদের পর দিন বাসায় চলে আসেন। এবার নেতাকর্মীদের আসাটা আমার কাছে বেশি গুরুত্ববহ। কারণ গত দুই বছর করোনার কারণে আয়োজন কিছুটা সীমিত ছিল। তারপরও নেতাকর্মীরা দলে দলে এসেছিলেন। এবার আরও বেশি এসেছেন।’

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন