April 18, 2018 | 1:01 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
দেশের ফুটবলের জন্য বড় সুখবর হলো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রত্যাবর্তনের গল্পটি এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে প্রমাণ করার সুযোগ পাচ্ছে মামুন-জামালরা। তবে দুঃখের বিষয়, জাতীয় ফুটবল দলের কোচ চলে যাওয়ার পর এখন অবসরে দিন কাটছে সিনিয়র ফুটবলারদের। তাই ঘরের মাঠে দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকছে আসন্ন এই সাফ।
ঘরের মাঠে সাফ বলেই কি ভাগ্য এতটা সুপ্রসন্ন বাংলাদেশের? সহজ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান অনেকদিন আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধ ছিল,সাফ দিয়েই তারা ফিরছে। ভুটানের সাথে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ার প্রতিশোধের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে সাফেই। নেপাল ফিফা র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকলেও ঘরের মাঠে তাই ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
সেমিফাইনালে ওঠা তাই স্বাগতিক বাংলাদেশের সহজ হওয়ার কথা। ঢাকার পাঁচ তারকা এক হোটেলে বুধবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে দক্ষিণ এশিয়ার ‘বিশ্বকাপ’ নামে খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রুপ ‘এ’: বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল
গ্রুপ ‘বি’: ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা
গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সেমিফাইনালে খেলবে।
২০০৩ সালে ঘরের মাঠে একবারই সাফ ফুটবলের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালের পর আবারো ঢাকায় বসছে সাফের আসর। আগামী ৪ সেপ্টেম্বের ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে মর্যাদার ১২তম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। গত তিন সাফের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া বাংলাদেশ এবার কি পারবে ঘরের মাঠে নিজেদের ভাগ্য বদলে দিতে?
সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি