বিজ্ঞাপন

চবিতে ৮ জীবপ্রযুক্তি গবেষণাগার উদ্বোধন

May 23, 2022 | 7:41 pm

চবি করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের উদ্যোগে আটটি নতুন আন্তর্জাতিক মানের জীবপ্রযুক্তি গবেষণাগার নিয়ে ‘নেক্সট জেনারেশন সিকুয়েন্সিং রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ল্যাব চিটাগাং (এনরিচ)’ উদ্বোধন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৩ মে) দুপুর ১২টায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বায়োটেকনোলজি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার (ব্রিক), ঢাকার চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ) ও সুইজারল্যান্ডের ফাইন্ড ডায়গনস্টিকের সহায়তায় জিনোম গবেষণায় আন্তর্জাতিক যৌথ গবেষণাগার উদ্বোধন করা হয়।

আটটি ল্যাব হলো— জিন ও প্রোটিন গবেষণা ল্যাব, অনুজীব গবেষণা ল্যাব, রোগতত্ত্ব গবেষণা ল্যাব, ফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণা ল্যাব, ক্যানসার গবেষণা ল্যাব, পরিবেশ ও দৈহিক বৃদ্ধি গবেষণা ল্যাব, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বায়োটেকনোলজি গবেষণাগার এবং বায়ো ইনফরমেটিভ অ্যান্ড কম্পিউটেশনাল বায়োলজি।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য শিরীণ আখতার বলেন, জ্ঞান-গবেষণার অন্যতম চারণভূমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ ও নবীন গবেষকরা তাদের গবেষণা কর্মের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে স্বনামধন্য হয়েছেন। পাশাপাশি তাদের গবেষণার মাধ্যমে দেশ-জাতি তথা সারাবিশ্ব উপকৃত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার সিএইচআরএফের পরিচালক, বিজ্ঞানী ও গবেষক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা সেঁজুতি সাহা বলেন, আমরা সবাই জানি সংক্রামক রোগের জন্য জিনোম সিকুয়েন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো সংক্রামক ব্যাকটেরিয়ার জন্য আমাদের বুঝতে হবে, কী জীবাণু দিয়ে রোগগুলো হচ্ছে। জীবাণুগুলোকে বুঝতে হবে। আমরা যদি জীবাণুগুলো বুঝি, তাহলে রোগীদের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারব। পরবর্তী সময়ে সঠিক ভ্যাকসিন আনতে পারব।

তিনি বলেন, যদি পুরো দেশে জিনোম সিকুয়েন্স করতে হয়, তাহলে আমাদের নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা খুবই জরুরি। এজন্যই চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সঙ্গে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন একযোগে কাজ করছে। সুইজারল্যান্ডের ফাইন্ড ডায়াগনস্টিকের সহায়তায় জিনোম গবেষণা কেন্দ্র করছি। এখানে জিনোম সিকুয়েন্স করার মেশিন আছে। এছাড়াও যা যা প্রয়োজন, আমরা করছি। এই জিনোম সিকুয়েন্স ব্যবহার করে দেশের স্বার্থে, দেশের জন্য গবেষণা করা যাবে।

বিজ্ঞাপন

চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান বলেন, বর্তমান সময়ে পুরো পৃথিবীতে সবচেয়ে আলোচিত গবেষণা ক্ষেত্র হচ্ছে জীব প্রযুক্তি। পৃথিবীতে রোগতত্ত্ব, রোগের কারণ, রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার, নতুন নতুন ওষুধের নকশা প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের ধান উৎপাদন— এসব কাজে বায়োটেকনোলজির ব্যবহার হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে বায়োটেকনোলজির আটটি গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এখানে গবেষণা হবে মহামারি, সংক্রামক রোগ, বংশগত রোগ, ভ্যাকসিন ও ওষুধ তৈরি করা, জনস্বাস্থ্য, মানবদেহের জন্মগত ত্রুটি শনাক্ত, মানব দেহের দৈহিক বৃদ্ধি ও বিকাশ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে।

তিনি বলেন, এছাড়াও একটি বিশেষায়িত ক্যানসার ল্যাব হবে। এসব ল্যাবের মূল উদ্দেশ্য মৌলিক গবেষণা শুরু করা। আমাদের এখানে প্রথম ধাপে প্রশিক্ষণ নেবে এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) শিক্ষার্থীরা। ধাপে ধাপে চট্টগ্রাম বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয় জীববিজ্ঞান জেনেটিক্সের শিক্ষার্থীদের দিতে চাই। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে চাই।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের সভাপতি ড. নাজনীন নাহার ইসলাম। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদ হোসেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ সাত্তার, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের (বিসিএসআইআর) পরিচালক ড. গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের (বিআইটিআইডি) পরিচালক ড. নাসির উদ্দিন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রথম বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-ফোরকান, অধ্যাপক ড. লুলু ওয়াল মারজান, অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এ এম আবু আহমেদ ও সহযোগী অধ্যাপক এ এম মাসুদুল আজাদ চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/সিসি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন