বিজ্ঞাপন

‘অর্থের বিনিময়ে যুবলীগে পদ দেওয়া হবে না’

May 29, 2022 | 5:07 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: অর্থের বিনিময়ে যুবলীগে কাউকে পদ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৯ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। হাটহাজারীর পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ পরশ বলেন, ‘সাংগঠনিক পদ কেবল সাংগঠনিক কাজে ব্যবহারের জন্য। সাংগঠনিক পদ-পদবি নিজের ব্যক্তিগত পকেট ভারি করার জন্য নয়। ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করার জন্য নয়। সাংগঠনিক পদ কোনো বাজার থেকে কিনে আনা পণ্য নয়। আমি কথা দিচ্ছি, আমাদের কাছ থেকে পদ পেতে কোনো উপঢৌকন দিতে হবে না। কোনো আর্থিক সহায়তা লাগবে না। অর্থের বিনিময়ে পদ দেওয়া হবে না। অবৈধ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে যেন যুবলীগকে ব্যবহার করা না হয়। সাংগঠনিক পদ-পদবি চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির জন্য ব্যবহার করবেন না।’

তিনি বলেন, ‘সংগঠনে ভুঁইফোড় অনুপ্রবেশকারীদের রাজত্ব বন্ধ করতে হবে। আশা করি, আপনারা ত্যাগী সাংগঠনিকভাবে অভিজ্ঞ ও দক্ষ নেতাকর্মীদের নির্বাচন করে মূল্যায়ন করবেন। যারা দলের দুঃসময়ে সংগ্রাম করেছে, জেল-জুলুম ত্যাগ-তিতীক্ষা অত্যাচার সহ্য করেছে, তাদের আপনারা বিবেচনা করবেন। বিবেচনা করবেন তাদের বিগত দিনের কর্মকাণ্ড ও কার্যকলাপ।’

বিজ্ঞাপন

‘যুবলীগের আইন সম্পাদক হবেন, কিন্তু নেতাকর্মীদের আইন সেবা দেবেন না, স্বাস্থ্য সম্পাদক হয়ে নেতাকর্মীদের স্বাস্থ্যের খবর রাখবেন না, তা হয় না। যুবনেতাদের সুশৃঙ্খল হতে হবে। একটি শুদ্ধি অভিযানের মধ্য দিয়ে আমাদের কমিটি এসেছে। আপনারা মূল্যায়ন করবেন, আমরা মনমানসিকতায় পরিবর্তন আনতে পেরেছি কি না। যুবলীগ মানবিক যুবলীগে পরিণত হয়েছে কি না,’— বলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান।

আগামী নির্বাচনের জন্য যুবলীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ পরশ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যার অর্জন ও সফলতা জনগণের মাঝে তুলে ধরতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। একদিকে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব দেবে যুবলীগ, অন্যদিকে লড়াই-সংগ্রামও জারি রাখতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সম্মেলনে অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অতীতে সবসময় উত্তর জেলার সাতটি আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া হয়েছে। যখন দলের খারাপ সময় গেছে, তখনো আমরা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা থেকে বেশি আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিয়েছি। ২০০১ সালের নির্বাচনেও চট্টগ্রামের ২৩টি আসনের মধ্যে দুইটি আসন পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। আর সেগুলো ছিল উত্তর জেলার অধীন। আগামী নির্বাচনেও উত্তর জেলার সব আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল অনেক কথা বলছেন। তারা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করবেন না। তারা চান নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে। মির্জা ফখরুল, বিএনপি নির্বাচন অবশ্যই করবে, শুধু টালবাহানা করছে। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বিএনপি একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে। নির্বাচনে সরকার প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। আমরা তার অধীনে নিরাপদ। এতে ভয়ের কিছু নেই। বিভিন্ন রাষ্ট্রে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হয়ে থাকে।’

সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও  সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, দিদারুল আলম ও খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, যুবলীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন