বিজ্ঞাপন

ছাত্রলীগের অবরোধে অচল চবি

June 1, 2022 | 11:39 am

চবি করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) গ্রুপের দুই নেতা মারধরের শিকার হয়েছেন। এই ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধ করেছেন অনুসারীরা। বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একমাত্র যাতায়াত বাহন শাটল ট্রেনও।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩১) দিবাগত রাত ১টার দিকে মাজার গেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৩টা থেকে অবরোধ শুরু করেন তাদের অনুসারীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যামূয়ের ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। জিরো পয়েন্টের চারদিকে গাছের গুঁড়ি দিয়ে পথ আটকে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাস শহর থেকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি। এছাড়াও বুধবার (১ জুন) শহর থেকে ক্যাম্পাসগামী সকাল সাড়ে ৭টা ও ৮টার ট্রেন পৌঁছায়নি ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও খবুই কম দেখা যায়। এদিকে অবরোধের পর থেকে ক্যাম্পাসে অচল অবস্থা বিরাজ করছে। বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে৷

বিজ্ঞাপন

মারধরের শিকার হলেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রদীপ চক্রবর্তী দু্র্জয় ও মোহাম্মদ রাশেদ।

ছাত্রলীগের অবরোধে অচল চবি

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩১ মে) ১টার দিকে ছাত্রলীগের এই দুই নেতা এক নম্বর ফটক থেকে মোটরসাইকেল দিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন। আসার সময় মদন ফকির মাজার গেট এলাকায় এসে স্থানীয় কয়েকজন দেশীঅস্ত্রসহ তাদের গতিরোধ করে। এসময় মারধর করে। মোটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে ভিএক্স গ্রুপের অনুসারীরা জিরো পয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে ক্যাম্পাস অবরোধ করে রাখে। একইসঙ্গে শাটল ট্রেন আটকে দিয়েছে তারা। এছাড়াও মূল ফটক, দুই নাম্বার গেইট ফটকে তালা দেওয়ার পাশাপাশি প্রধান সড়ক ও জিরো পয়েন্ট থেকে সবদিকের রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করেছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

ছাত্রলীগের অবরোধে অচল চবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা বলেন, অবরোধের কারণে শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে হয়না।

বিজ্ঞাপন

প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, রাতে স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ ও তার দলবল হামলা করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি৷

স্থানীয় বাসিন্দা ও ফতেপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ হানিফ বলেন, মারধরের সময় ঘুমাচ্ছিলাম। সকালে সাতটার দিকে ঘুম থেকে উঠে শুনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দু'জনকে মারধরে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।

সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা অবরোধ করেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সারাবাংলা/সিসি/এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন