বিজ্ঞাপন

মে মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটা

June 1, 2022 | 7:13 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: টানা তিন মাস ঊর্ধমুখী থাকার পর আবারও ভাটা পড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহে। সদ্য বিদায়ী মে মাসে প্রবাসীরা ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এটি বাংলাদেশি মুদ্রায় (এক ডলার সমান ৮৯ টাকা) ১৬ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

রেমিট্যান্সের এ প্রবাহ গত এপ্রিলের তুলনায় ১২ কোটি ৪২ লাখ ডলার কম। এপ্রিল মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০০ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। এ ছাড়াও সদ্যবিদায়ী মে মাসের রেমিট্যান্স প্রবাহ গত বছরের একই সময়ের (মে-২০২১) তুলনায় ২৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনার কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। এ ছাড়াও পবিত্র রমজান এবং ঈদকে কেন্দ্র করে গত এপ্রিল মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের কয়েক মাসের তুলনায় বেড়েছিল। কিন্তু মে মাসে বড় কোনো উৎসব না থাকায় আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কমেছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২/৩ মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী— বরাবরের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে ৩৪৫ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এরপর রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক (২৫৮ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার), অগ্রণী ব্যাংক (১২৫ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার), সাউথইস্ট ব্যাংক (১০৫ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার)।

একই সময়ে মে মাসে বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমতে শুরু করে। গত জুলাই মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার, আগস্টে ১৮১ কোটি, সেপ্টেম্বরে ১৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ১৬২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ২৩ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে অর্থবছরের শেষ ৫ মাসে অর্থ্য জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৭০ দশমিক ৪৪ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলারে, মার্চে ১৮৬ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২০০ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।

সর্বশেষ সদ্য বিদায়ী মে মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। ফলে অর্থ বছরের শেষ ৫ মাসে রেমিট্যান্স আসে ৮৯৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার।চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৯১৯ কোটি ২৫ লাখ ডলার।

বিজ্ঞাপন

অর্থবছর ভিত্তিক রেমিট্যান্স: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১ হাজার ৬৩১ কোটি ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

অন্যদিকে পঞ্জিকা বছর হিসাবে রেমিট্যান্স: ২০২১ সালে করোনার মধ্যেও প্রবাসীরা অতিথের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে রেমিট্যান্স পাঠায় ২ হাজার ২০৭ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। ২০২০ সালে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

এর আগে, ২০১৯ সালে প্রবাসীরা ১ হাজার ৮৩৩ কোটি মাকির্ন ডলার, ২০১৮ সালে ১ হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার এবং ২০১৫ সালে ১ হাজার ৫৩১ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে।

সারাবাংলা/জিএস/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন