বিজ্ঞাপন

কোটা সংস্কারের নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করায় ফখরুলের নিন্দা

April 19, 2018 | 3:42 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদেরকে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় নিন্দা এবং এর সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্প‌তিবার (১৯ এপ্রিল) দুপু‌রে জাতীয় প্রেসক্লা‌বের কনফা‌রেন্স রু‌মে আয়োজিত এক প্র‌তিবাদ সভায় তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।

বিএনপি চেয়ারপারসন খা‌লেদা জিয়ার মু‌ক্তি ও নির‌পেক্ষ নির্বাচনের দা‌বিতে এই প্র‌তিবাদ সভার আ‌য়োজন করা হয়। অ্যা‌সো‌সি‌য়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলা‌দেশের (অ্যাব) সভাপতি প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভুঁইয়া প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিল করতে পারেন না উল্লেখ করে এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) রাগ করে কথা বলেছেন। এটা তিনি করতে পারেন না। তার সেই এখতিয়ার নেই। এই ঘোষণাটা সংবিধানের বাই‌রে। আর ছাত্ররা চেয়েছিল কোটা পদ্ধতি সংস্কার। কিন্তু তিনি সেটা না করে কোটা পদ্ধতি উঠিয়ে দিয়েছেন। তি‌নি জানেন যে, এটা কোর্টে উঠলে আটকে দেওয়া হবে। যার ফলে এখন পর্যন্ত গেজেট হয়নি। এখন পর্যন্ত অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বরং উল্টো শিক্ষার্থী‌দের বিরু‌দ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। তা‌দেরকে তু‌লে নি‌য়ে যাওয়া হ‌য়ে‌ছে।’

বিজ্ঞাপন

দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে জনগণের কাছে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন রোল মডেলই হচ্ছে মিথ্যাচার। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে। আর মুক্তি পাওয়ার একটিই পথ, সেটি হচ্ছে জনগণ। জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে। জনগণের গণ-অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। শুধু দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য।

বেগম জিয়ার সাজার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘বলতে আমাদের কোন দ্বিধা নেই, নিম্ন আদালতের হাকিম সাহেব অপেক্ষা করতে থাকেন, উপর থেকে কি নির্দেশ আসবে। এরপর সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতে, কিছুটা ভরসা ছিল যে, তারা দেখেন রায়টা ঠিক হচ্ছে কি না। কিন্তু এখন সেটিও দেখে না!

সকল রাজনৈতিক দল ও যারা গণতন্ত্র চান তাদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে একমত হই। এই ইস্যুতে একটি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন। যে নীল-নকশায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করা হয়েছিল, সেই অবস্থার এখনও পরিবর্তন হয়নি। আরো ভয়াবহ অবস্থা হ‌য়ে‌ছে।

বিজ্ঞাপন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আবদাল আহমেদ, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।

সারাবাংলা/এসআর/এমআইএস/

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

বিজ্ঞাপন

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন