বিজ্ঞাপন

চাল ব্যবসায়ীদের ওপর ক্ষেপলেন এফবিসিসিআই সভাপতি

June 2, 2022 | 5:17 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চাল ব্যবসায়ীরা সরকারের অভিযানে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করলেও তাদের প্রতি উল্টো ক্ষোভ জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। ভরা মৌসুমেও কেন চালের দাম বাড়ছে, সেই প্রশ্নই তিনি ছুড়ে দিয়েছেন চাল ব্যবসায়ীদের প্রতি। আর এমন ভরা মৌসুমে অযৌক্তিকভাবে চালের দাম বাড়ানো হলে তার জন্য সরকার অভিযান চালিয়ে ধরপাকড় করতেই পারে— এমনও মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে এফবিসিসিআই বোর্ডরুমে ‘নিত্যপণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহও মূল্য পরিস্থিতি’ নিয়ে চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেছিলেন জসিম উদ্দিন। সেখানে তিনি চাল ব্যবসায়ীদের প্রতি ক্ষোভও জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই চাল ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা এফবিসিসিআই সভাপতির কাছে অভিযোগ করে বলেন, তাদের (চাল ব্যবসায়ী) হয়রানি ও ধরপাকড় করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- মজুতদারির বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরালো হবে: খাদ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

এর জবাবেই এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, এখন ধানের ভরা মৌসুম চলছে। ধান উঠছে, দাম কমছে। ধানের দাম কম হওয়ার কারণে চালের দামও কমার কথা। কিন্তু চালের দাম বেশি। আপনারা ধানের ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়িয়ে দেবেন আর সরকার ধরপাকড় করবে না— এটা কি হয়?

তিনি বলেন, আপনি-আমি ব্যবসা করে খাই, আমরা ব্যবসা করব। তার মানেই দাম কেজিতে ১০/১৫ টাকা বাড়িয়ে দেবেন— তাই হয় নাকি? আপনি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেশিন আনছেন, এতে খরচ কমার কথা। তাহলে দাম কেন বাড়বে, ভাই? বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন পোলাও চালের। সেখানে মিনিটে ৬ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আপনারা উল্টো চালের দাম আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন!

বিজ্ঞাপন

এফবিসিসিআই সভাপতি ব্যবসায়ীদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আপনারা কেন (চাল) মজুত করেন?’ জবাবে চাল ব্যবসায়ীদের কয়েকজন বলেন, তারা চাল মজুত করেননি। এসময় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আপনারা যদি মজুত না করে থাকেন, তাহলে কেন অভিযানের পর দাম কমে বা কমলো? চালের দাম বাড়তি থাকবে, তারপর অভিযান হলে দাম কমবে— তার মানে আমরা মজুত করছি।’

তিনি আরও বলেন, আসলে সংকটই নেই। সবার কাছে চাল আছে। ৫/১০ শতাংশ ধান হয়তো নষ্ট হয়েছে। তাহলে এখন কেন দাম বাড়বে? এটা তো বাড়তে পারে আরও সাত মাস পর। কিন্তু সুযোগ পেলেই দাম বাড়বে, এটা তো সরকার সহ্য করবে না। আমরাও সহ্য করবে না।

ক্ষোভ জানিয়ে ব্যবসায়ী নেতা জসিম উদ্দিন বলেন, চাল ব্যবসা করে গুলশানে বাড়ি করছেন, বিভিন্ন স্থানে আরও আট থেকে ১০টি করে বাড়ি আছে। তারপর আবার বলছেন ব্যবসায় লোকসান!

ফাইল ছবি

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন