বিজ্ঞাপন

জোট সক্রিয় না থাকলেও আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে থাকবে কল্যাণ পার্টি

June 2, 2022 | 8:48 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট সক্রিয় থাকুক বা না থাকুক কল্যাণ পার্টি বিএনপির নেতৃত্বেই আন্দোলনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতীক।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এর আগে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলামের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কল্যাণ পার্টির ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘বিএনপি মতবিনিময় শুরু করেছে। তবে যারা বিএনপির সঙ্গে জোটে ছিলেন না, তাদের সঙ্গে মতবিনিময় আর যারা জোটে ছিলেন তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের ক্ষেত্রে কাঠামোগত কিছুটা পার্থক্য হবেই। আমরা ১০টি বছর একসঙ্গে চলছি। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি বিএনপির অনুকূলে আন্দোলনে ও বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গায় থাকতে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আজকেও আমরা বিএনপিকে প্রস্তাব দিয়েছি। বিএনপির মহাসচিব যেমনটি বলেছেন; আমরা একমত হয়েছি বর্তমান একনায়কতান্ত্রিক সরকারকে সরানো- এটা রাজনীতিতে প্রধান অগ্রাধিকার। এটা বাস্তবায়নের জন্য করণীয় হচ্ছে সকলকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা। কল্যাণ পার্টি প্রস্তাবে বলেছে, যদি কোনো ২০ দলীয় জোটকে সক্রিয় করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করতে প্রস্তুত। এটাও বলেছি, জোটকে সক্রিয় করার কাজে অথবা জোটের মধ্যে আরও দল একত্রিত করতে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আন্দোলন শুরু হলে আরও মতবিনিময় হবে। জরুরিভিত্তিতে মতবিনিময়ে সিদ্ধান্তগ্রহণের প্রক্রিয়া যেন দীর্ঘমেয়াদী না হয়, সেজন্য একটি কাঠামো তৈরি করা দরকার। আন্দোলন তড়িৎগতিতে হয়, আন্দোলনে ১২ ঘণ্টা, ৬ ঘণ্টা অনেক দীর্ঘ সময়। বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাত হাজার মাইল দূরে অবস্থান- এ দুটো সীমাবদ্ধতাকে মেনে আমাদের এগোতে হবে।’

বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। তাদের ক্ষমতা থেকে সরাতে এবং দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের জন্য কাজ করছে বিএনপি। ধারাবাহিক মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে আজ আমরা কল্যাণ পার্টির সঙ্গে সংলাপ করেছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিদেশে নির্বাসিত তারেক রহমানে দেশে ফিরিয়ে আনা ও ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার আমাদের সবচেয়ে বড় দাবি। এই মুহূর্তে সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। এর পর নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে তার অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদ গঠন করে সেই সংসদের মাধ্যমে একটি সরকার গঠন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবেন, তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি সরকার গঠন করা হবে। পরবর্তী সময়ে আলোচনার ভিত্তিতেই রাষ্ট্রের সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে হবে।’

বৈঠকে দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রের যেসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, বিচার বিভাগ, সংবিধানসহ অন্যান্য বিষয়গুলোর সংস্কার দরকার, সে সংস্কারগুলো মতৈক্যের ভিত্তিতে আমরা গ্রহণ করব। এই সরকারের বিরুদ্ধে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কল্যাণ পার্টি একমত হয়েছে।’

কল্যাণ পার্টি প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াস, মিসেস ফোরকান ইব্রাহিম, মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন, অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির পিন্টু, ভাইস-চেয়ারম্যান আলী হোসাইন ফরায়েজী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাহমুদ খান, যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্লা, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল মেহেদী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদ আবেদন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন