বিজ্ঞাপন

‘শহরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ৮২৬ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান’

June 6, 2022 | 10:04 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ ১৯টি শহরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য ৮২৬ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নগর দারিদ্রদের ক্ষুদ্র ব্যবসা, ব্যবসায় সহায়তা অনুদান, প্রশিক্ষণ প্রদান, শর্ত সাপেক্ষে শিক্ষা সহায়তা প্রদান, কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান, নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা হ্রাস এবং বাল্যবিবাহ বন্ধে সেইফ কমিউনিটি গঠন, শর্ত সাপেক্ষে গর্ভবতী মায়েদের এক হাজার দিনব্যাপী পুষ্টি সহায়তা (ফুড বাস্কেট প্রদান, সৌর সড়কবাতি, কমিউনিটি ল্যট্রিন ও গোসলখানা স্থাপন, নর্দমা নির্মাণসহ জীবনমান উন্নয়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৬ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম (বাজেট) অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় এপি এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) তারকা চিহ্নিত লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদে এসব তথ্য তুলে ধরেন। এ দিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশ সরকার, যুক্তরাষ্টের ‘ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস’ (এফসিডিও) এবং ইউএনডিপির আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প’ ১৯টি শহরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ পাঁচ বছর। যার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী রয়েছে।’

তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫টি ওয়ার্ডে অবস্থিত দরিদ্র বস্তিতে বসবাসরত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ হতদরিদ্র মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই প্রকল্পের উপকারভোগী। প্রতিনিটি পরিবার থেকে একজন নারী সদস্য মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধিত হন এবং এখানে নিবন্ধিত সদসের সংখ্যা ৭৫ হাজার ১১৮জন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দরিদ্র পরিবারের ৫৮ হাজার পরিবার সম্পৃক্ত হয়েছে। ৪৫ হাজার ৮০০ পরিবার অনলাইনে নিবন্ধিত আছে। ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৪টি ওয়ার্ডে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানান, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। সবধরনের দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, সে তুলনায় আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তার পরেও উনি যেটা বলেছেন তা বাস্তবতা। রডসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে। এসব বিষয়ে কনট্রাকসহ নির্মাণ কাজের খরচ বাড়ছে, এ কাজের পুণঃব্যয় নির্ধারণ করতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ইঞ্জিনিয়ারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে ঠিকাদারদের নেওয়া নির্মাণ কাজের পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছি। তা না হলে ঠিকাদারদের লোকসান হবে। তারা আর কাজ নেবে না।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন