বিজ্ঞাপন

মিরপুরে ইয়াসিন-শরিফুলে বিধ্বস্ত ইস্ট জোন

April 19, 2018 | 6:22 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

এক দিনেই এক দলের ২০ উইকেট নেই। বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শেষ কবে এক দিনে একই দল দুই বার অলআউট হয়েছে, অনেক খুঁজেও বের করা গেল না। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ইসলামি ব্যাংক ইস্ট জোনের সেই পরিণতিই হলো। আর তাতেই তিন দিনে ইনিংস ও ২৮ রানের ব্যবধানে জিতে বিসিএলের পয়েন্ট তালিকার সবার ওপরে চলে গেছে বিসিবি নর্থ জোন।

সেজন্য তাদের তরুণ দুই পেসারই সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন। ইয়াসিন আরাফাত এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে। লিস্ট ‘এ’তে বাংলাদেশের হয়ে সেই কীর্তি ছিল না আর কারও। আজ স্বপ্নের একটা দিনে দুই ইনিংস মিলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ইয়াসিনের বয়স এখনও ২০ হয়নি, তবে আরেক তরুণ বোলার শরিফুল ইসলাম আরও আনকোরা। এবারের লিগে চোখে পড়ার মতো বল করেছেন এই তরুণ, বয়স তার মাত্র ১৬। আজ দেখিয়ে দিয়েছেন, ঠিকঠাক যত্ন নিলে তিনিও হতে পারেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দারুণ একটা সম্পদ। বাঁহাতি এই পেসার দুই ইনিংস মিলে নিয়েছেন ৭ উইকেট।

অথচ কাল দিন শেষেও বোঝা যায়নি বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে এমন কিছু হতে পারে। কাল ১১০ রানে কোনো উইকেট না হারিয়েই ইনিংস শেষ করেছিল ইস্ট জোন। কিন্তু আজ সকালে ১২ রান যোগ করার পরেই অভিজ্ঞ শফিউল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে যান তাসামুল হক। ২১ রান করার পর অধিনায়ক মুমিনুল হক আউট হলেন ইয়াসিনের বলে, ইস্ট জোনের পতনের শুরু সেখান থেকেই। সকালের সেশনে দেখতে দেখতে তারা হারিয়ে ফেলল ১০ উইকেট। ১৫৪ রানে ১ উইকেট থেকে অলআউট হয়ে গেল ২১৭ রানে! লিটন আশা দেখাচ্ছিলেন বড় কিছুর, কিন্তু ৬৯ রান করার পর তাকে আউট করে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দিয়েছেন ইয়াসিন। এরপর ইয়াসিন একে একে ফিরিয়ে দিয়েছেন আফিফ হোসেন ও অলক কাপালিকে।

বিজ্ঞাপন

প্রথম ইনিংসে শরিফুল নিজের প্রথম উইকেট নেন মোহাম্মদ আশরাফুলকে ফিরিয়ে দিয়ে। জাকের আলীকে আউট করার পরে সোহাগ গাজী ও আবু জায়েদকে ফিরিয়ে ইস্ট জোনের লেজটা ছেঁটে দিয়েছেন তরুণ এই পেসার। ৩৩ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন শরিফুল, ৩৯ রানে চারটি ইয়াসিন। নর্থ জোন করেছিল ৪১৫ রান, ফলো অনে পড়ে আবার নামতে হয়েছে ইস্ট জোনকে।

দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই আগের চিত্রনাট্যই। এবারও পেস বলের সামনে অসহায় ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৯ রান করে শফিউলের বলে লিটনের আউটে শুরু ধসের। মুমিনুলের অবশ্য দুর্ভাগ্য, মুখোমুখি প্রথম বলেই প্রায় অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন আরিফুল হক। উইকেটটা পেয়েছেন শফিউলই। আফিফ পেসে ছিলেন নড়বড়ে, শেষ পর্যন্ত পেসেই পরাস্ত হয়ে ইয়াসিনের বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে।

২ উইকেটে ৪৯ থেকে দেখতে দেখতে ৭ উইকেটে ৯১ হয়ে গেল ইস্ট জোন। আশরাফুল প্রথম ইনিংসে ১১ করার পর এবার করলেন ৮, কাপালি আউট শূন্য রানে। ৭ উইকেটের পর কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন সাইফউদ্দিন ও সোহাগ গাজী। দুজন অষ্টম উইকেটে যোগ করেন ৬৯ রান, ফিফটিও পেয়ে গেছেন সোহাগ গাজী। মনে হচ্ছিল, আজকের দিনটা পার করে দেবেন দুজন। কিন্তু ফিফটির পরেই তাইজুলের বলে স্টাম্পড সোহাগ, বাকি তিন উইকেটও পড়ে গেছে দ্রুত। এবার ইয়াসিন, শরিফুল ও শফিউল তিন পেসার মিলে নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। স্পিনার তাইজুলের একটি উইকেট।

বিজ্ঞাপন

৫ ম্যাচে এখন নর্থ জোনের পয়েন্ট ৫৮, আর সমান ম্যাচে ইস্ট জোনের পয়েন্ট ৪০। বাকি আছে আর এক রাউন্ড।

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন