বিজ্ঞাপন

তরুণদের জন্য সময়োপযোগী বাজেট চাই

June 8, 2022 | 3:49 pm

হাবীব ইমন

এক.
করোনা ঠেকাতে লকডাউনসহ গৃহীত কর্মসূচির ফলে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত অনেক যুবক নতুন করে দরিদ্র অবস্থায় পতিত হয়েছেন। সাম্প্রতিক বাজেটগুলোতে নতুন এই দরিদ্রদের জন্য আশানুরূপ বরাদ্দ রাখা হয়নি, একই সঙ্গে বেকার জনগোষ্ঠীর উন্নয়নেও পর্যাপ্ত মনোযোগ ছিলো না। বিভিন্ন তথ্য সমীক্ষায় দেখা যায়, করোনাকালে যুবকদের মানসিক সমস্যা বেড়েছে, একই সঙ্গে নানামুখী সামাজিক অর্থনৈতিক চাপও বেড়েছে। বরাবরই রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘উপেক্ষা দৃষ্টিভঙ্গি’ দেখা গেছে; এই ব্যাপক সংখ্যক জনশক্তিকে কাজ দিতে না পারলে এই শক্তি পরিণত হবে অভিশাপে। হতাশা থেকেই যুবশক্তি হয়ে যেতে পারে কক্ষচ্যুত। ইতোমধ্যে এ পরিস্থিতির উপস্থিতি বেড়ে চলছে।

বিজ্ঞাপন

দুই.
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক অ্যাট কোর্টল্যান্ডের অধ্যাপক ড. বিরূপাক্ষ পাল এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন—‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য নিয়ে সন্দেহ এখনো রয়ে গেছে। … কোনো দেশেই বাংলাদেশের মতো এমন নিম্নমানের তথ্য নেই। এটি বিশ্রী মনে হতে পারে, তবে সত্য সত্যই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য সবচেয়ে নিম্নমানের।’ (২৩ জানুয়ারি ২০২০, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডস)

২০১৬-২০১৭ সালের পর বাংলাদেশে কোনো শ্রমশক্তি জরিপ হয়নি। কর্মসংস্থানের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ কী করে সম্ভব? কী করে অতীতে বিদ্যমান বেকারত্ব এবং মহামারি উদ্ভূত কর্মসংস্থান সঙ্কট চিহ্নিত করে পরিকল্পনা ও সেই অনুযায়ী বরাদ্দ সম্ভব? তরুণদের জন্য সময়োপযোগী, পর্যাপ্ত এবং উপযুক্ত কর্মসংস্থান তৈরি করতে না পারা একটি বড় সঙ্কট।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত ‘ভাইরাসের মহাবিপর্যয় থেকে শোভন বাংলাদেশের সন্ধান’ শীর্ষক একটি গবেষণা কাজ সম্পন্ন করেছেন। গবেষণায় উঠে এসেছে—করোনার আঘাতে দেশের ৩ কোটি ৫৯ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। কর্মবাজারে যোগ্য প্রায় দেড় কোটি মানুষ আগের পেশায় ফিরতে পারেননি। তারা করোনার আগে কৃষি, শিল্প, সেবা, নির্মাণ, পরিবহন, পাইকারি ও খুচরা বাজার প্রভৃতি খাতে কর্মে নিয়োজিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

গবেষণাপত্রে আরও উঠে এসেছে—কর্মহীন হওয়া মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশ তাদের আগের পেশায় ফিরতে পারবেন না, শ্রমবাজারের ধরনটাই পালটে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতার গুরুত্ব ও উপযোগিতা বেড়েছে। সন্দেহ নেই, আবুল বারকাতের গবেষণাপত্রের তথ্যগুলো আমাদের মন খারাপ করে দেয়। এই মন খারাপ হওয়াটা আরও তীব্র হয়, যখন আমরা মূল্যস্ফীতি দেখতে পাই। এই যে বেকার হয়ে যাওয়া কিংবা দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়া—এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? সম্প্রতি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জিডিপির প্রবৃদ্ধির বদলে কর্মসংস্থার বাড়ানো ও মূল্যস্ফীতি রোধের ওপর জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।

তিন.
যুবকরাই বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার কাঙ্খিত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটকের কাজ করছে। টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০ অনুযায়ী দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে গেলে যুবকদের জন্য শোভন কর্মসংস্থানের বিকল্প নেই। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বেশ কয়েকটি লক্ষ্য সরাসরি সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়নের সাথে সাথে যুব কর্মসংস্থানের বিষয়গুলোকে উল্লেখ করে। আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন করলেও বেকারত্ব বাংলাদেশের জন্য একটি অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। ক্রমবর্ধমান যুব কর্মপ্রত্যাশীদের চাপে বাংলাদেশের শ্রমবাজার হিমশিম খাচ্ছে। বিআইডিএস গবেষণামতে, দেশে মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী যুবকদের ৩০ দশমিক ৩২ শতাংশ বা এক তৃতীয়াংশ পুরোপরি বেকার ও প্রায় ৩০ শতাংশ যুবক (১ কোটি ২৩ লাখ) কর্মস্থান, শিক্ষা কিংবা প্রশিক্ষণ কোনটির সাথেই জড়িত নন। এদের একটি বড় অংশ স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন। যুবকদের বেকারত্বের কারণ হিসেবে কিছু উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এর মধ্যে গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা, উপযুক্ত শক্তি তৈরিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষাখাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নেই। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষাখাতে জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ বরাদ্দের কথা থাকলেও বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে। ২০১১-২২ অর্থবছরে বাজেটের দিকে তাকালে দেখা যায়, শিক্ষা প্রযুক্তিতে ৯৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে, জিডিপি হিসেবে তা ২.০৮ শতাংশ মাত্র। এই বরাদ্দের মধ্যে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা মূলত রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুতকেন্দ্রসহ অন্যান্য খাতের টাকার অংশ, যার সাথে শিক্ষাখাতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে টিকে থাকতে যেসব দক্ষতা জরুরি, প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা সেসব দক্ষতা গড়ে তুলতে অনেকাংশে ব্যর্থ হচ্ছে।

সম্প্রতি ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদন জানায়, ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীই মনে করেন চাকরি বাজারের জন্য প্রস্তুত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তেমন কোনো অবদান নেই, অথবা এ ব্যাপারে তারা নিশ্চিত নন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যা পড়ানো হচ্ছে, সেসব বিষয় অনুযায়ীও পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। ফলে প্রতিবছর যে পরিমাণ যুবক গ্র্যাজুয়েট হচ্ছেন সে অনুযায়ী কর্মবাজার বিস্তৃত হচ্ছে না। বিশ্বব্যাংকের ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহামারি পূর্ব বাংলাদেশে ৩ জন গ্রাজুয়েটের মধ্যে চাকরি পেতেন মাত্র ১ জন। এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৮টি দেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষিত বেকারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।

বিজ্ঞাপন

চার.
শিক্ষিত যুবকদের বাইরেও নানা ধরনের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত একটি যুবগোষ্ঠী রয়েছে, যারা উন্নয়ন ভাবনায় হিসাবের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। যে যুবক পড়াশোনা থেকে ঝরে পড়েছেন, বাস, কন্ডাক্টর, নির্মাণ শ্রমিক কিংবা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছেন বা করবেন, সেই যুবক পরিসংখ্যানের দিক থেকে অবহেলিত। তারা রাষ্ট্রীয় মনোযোগ দিক থেকে পিছিয়ে পড়া। তাদের অর্থনৈতিক চাহিদা ও ক্ষমতার সাথে তাল মিলিয়ে কাজের সুযোগ তৈরির পরিকল্পনা বাজেটে উপেক্ষিত।

পাঁচ.
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ‘কর্মসংস্থান নীতি-২০২২’ শিরোনামের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। সেই নীতির খসড়ায় বলা হয়েছে, দেশের জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৮% এর বেশি হলেও কর্মের সুযোগ সৃষ্টির হার মাত্র ৩.৩২%। সিপিডি-র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘দেশে কর্মসংস্থানবিহীন প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এরকম প্রবৃদ্ধি আরও বৈষম্য সৃষ্টি করবে। বৈষম্য থাকলে সমাজ টেকসই হয় না। জনগোষ্ঠীর বিরাট একটি অংশ চাকরির বাজারের বাইরে থাকলে তাদের অবদান থেকে সমাজ বঞ্চিত হয়। শুধু তারাই নয়, অর্থনীতিও বঞ্চিত হয়। কোনো না কোনো সময় গিয়ে সেই প্রবৃদ্ধি আর ধরে রাখা সম্ভব হয় না।’

বর্তমানে যে প্রবৃদ্ধি তা কর্মসংস্থানবান্ধব নয়। লাখ লাখ যুবক বর্তমানে চাকরি হারা, বেকার ও প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাবে ব্যবসায় বাণিজ্যে সংযুক্ত হতে পারছে না। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আগামী বাজেটসহ পরবর্তী বাজেটগুলোতে সুস্পষ্ট নজরদারি থাকা উচিত। বিদেশেও আমাদের কর্মসংস্থান বর্তমানে কাঙ্খিত হারে বাড়ছে না। মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া কর্মী নিয়োগের সুযোগ তৈরি হলেও এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছি। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বেসরকারি বিনিয়োগের প্রতি জোর দিতে হবে। এ জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ব্যবস্থার তদারকি বাড়াতে হবে। ব্যাংকের কৃত্রিম আয় বন্ধ করে বিনিয়োগ আদায়ের হার বাড়াতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে প্রতিবছর দেশের অভ্যন্তরে ১৮.৪ লাখ এবং বৈদেশিক কর্মে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করতে হবে।

ছয়.
বিশ্ব শ্রম সংস্থা প্রকাশিত ‘বিশ্ব কর্মসংস্থান এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি-ট্রেন্ড ২০২২’ প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে মোট শ্রমশক্তির ৫ শতাংশ বেকার থাকবে, যা ২০১৯ সালে মহামারিপূর্ব বেকারত্বের হারের তুলনায় প্রায় ০.৬ শতাংশ বেশি। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির পরিসংখ্যান অনুযায়ী মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে পৃথিবীর ১৮৯টি দেশের বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৩তম।
অন্যদিকে, করোনার সাথে সাথে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মানুষের কাজের ধরণ, উৎপাদনের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী রূপান্তর ঘটেছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, অর্থনীতির কাঠামোগত রূপান্তর, নিত্যনতুন উদ্ভাবন ও প্রয়োগের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ঘাটতির ফলে বিশ্বব্যাপী কর্ম হারাতে পারে প্রায় ৮০ কোটি মানুষ। দেশে-বিদেশশে কর্মরত বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকদের একটি বিশাল অংশ এই ঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা থাকবে।

বিজ্ঞাপন

সাত.
অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় যুবকদের জন্য অর্থ বরাদ্দ ঢেলে সাজানোর প্রত্যাশা থাকলেও ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে যুবকদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ও সুপরিকল্পিত কোনো উদ্যোগ ছিলো না। যুবকদের উন্নয়নের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) মোট বরাদ্দের মাত্র ১৪ শতাংশ সরাসরি যুবকদের কেন্দ্র করে বরাদ্দ দিয়েছে, ২৬ শতাংশ বরাদ্দ রয়েছে আংশিকভাবে। ১২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে বরাদ্দে যুবকদের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। কর্মসংস্থানের সঙ্গে জড়িত চারটি মন্ত্রণালয়ের বরাাদ্দে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ছিলো না। এই চার মন্ত্রণালয়ের এডিপির বরাদ্দ অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী ১১ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন চাকরি সৃষ্টির জন্য লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে কোনোভাবেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

৯ জুন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী। গণমাধ্যম সূত্র জানায়, এ বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ কিছুটা বাড়লেও কমছে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে বরাদ্দ।

আট.
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় রফতানিমুখী খাতের জন্য খুব সাধারণ কিছু উদ্যোগ ছাড়া বেকারত্ব সুবিধা প্রবর্তনের মতো কোনো উদ্যোগ নেই। বেকার ভাতা চালু হলে, এটি ছিটকে পড়া বেকারদের জন্য সহায়ক হতে পারে। যাদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা যাবে না, কিন্তু কর্মে ইচ্ছুক তাদের জন্য বেকার ভাতা চালু করা যেতে পারে।

লেখক: সহ-সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন

প্রিয় পাঠক, লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই ঠিকানায় -
sarabangla.muktomot@gmail.com

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব, এর সাথে সারাবাংলার সম্পাদকীয় নীতিমালা সম্পর্কিত নয়। সারাবাংলা ডটনেট সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে মুক্তমতে প্রকাশিত লেখার দায় সারাবাংলার নয়।

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন