বিজ্ঞাপন

রৌমারীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দুর্ভোগে পানিবন্দি মানুষ

June 13, 2022 | 6:57 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কুড়িগ্রাম: রৌমারী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত ৩ দিন ধরে পানিবন্দি জীবনযাপন করছে উপজেলার রৌমারী, শৌলমারী, দাঁতভাঙ্গা ও যাদুর চর ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুকনো খাবারের সংকটে পড়েছেন অনেক পরিবার। গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বানভাসীরা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৩ জুন) রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বন্যা কবলিত আমেনা বেগম বলেন, ‘৩ দিন ধরে ঘরের ভিতর পানি। রান্না করতে পারছি না। পানির কারণে নিজেরা ছেলেমেয়ে নিয়ে সমস্যায় আছি। পালিত গরু-ছাগল নিয়েও বিপাক বাড়ছে।’

রৌমারী সদর ইউনিয়নের বাওয়াইর গ্রামের ছপিয়াল হক (৫০) বলেন, ‘৩দিন যাবৎ বাঁশের মাচা ও চকি উঁচু করে সাপের ভয়ে মশারি টেনে কোনোরকম রাত্রি যাপন করছি।’

যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, ‘আমার এলাকার বন্যা পরিস্থিতির বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। সরকারি ভাবে এখন কোনও বরাদ্দ পাইনি।’

বিজ্ঞাপন

বন্যার পানিতে শাক-সবজি, মরিচ, কাউন, তিল, পাটসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত নিমজ্জিত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৃষক সুজাউল ইসলাম জানান, আমরা চরাঞ্চলে চাষাবাদ করে জীবন নির্বাহ করি। কিন্তু বন্যার পানিতে তলিয়ে সব শেষ হয়ে গেছে।

উপজেলার ২১টি বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। এ অবস্থায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ জানান, রৌমারী উপজেলার সব গুলো ইউনিয়নই বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে বন্যা কবলিতদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে বন্যা কবলিতদের জন্য ৩ লাখ টাকার শুকনো খাবার সরবরাহের কাজ চলছে। আরও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত বৃষ্টির পানিতে জিঞ্জিরাম, ধরনী ও কালজানি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রৌমারী উপজেলা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। তবে ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পনি কিছুটা বাড়লেও এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন