বিজ্ঞাপন

বন্যা প্রকৃতির খেলা, এটা নিয়েই বাঁচতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

June 19, 2022 | 1:35 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যা প্রকৃতির খেলা সেটা নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। চিরাচরিতভাবে ১০ বছর পরপর একটা বড় বন্যা বাংলাদেশে আসে। সবাইকে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করেছিলাম। সরকারের সবাইকে বলেছিলাম, এবারের বন্যা বিরাট আকারে আসবে। আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৯ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সাফ চ্যাম্পিয়ন-২০২১ বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ নারী জাতীয় ফুটবল দলকে সংবর্ধনা ও আর্থিক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

দেশের বন্যা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের বন্যাটা একটু বেশি ব্যাপকহারে এসেছে। সারাদিনই প্রতিনিয়ত খবর রাখছি।

ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌ-বাহিনীসহ অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় সহযোগিতা করছে।

বিজ্ঞাপন

বন্যাকবলিত মানুষের সহযোগিতার জন্য খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা, খাবার পানিসহ সবধরনের অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরবর্তী সংকটের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পানি নেমে গেলে যে অসুবিধাটা আসতে পারে, তার জন্যও আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আজ থেকে সুনামগঞ্জে পানি নামতে শুরু করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পানি যখন নামবে, তখন মধ্যাঞ্চল প্লাবিত হবে। আবার শ্রাবণ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চল প্লাবিত হবে। কাজেই বাংলাদেশে যদি আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশটা দীর্ঘদিন থেকে দেখি; তাহলে এটাই হচ্ছে নিয়ম, এটা হবেই। যখন বন্যা আসে পানি তখন এভাবেই প্লাবিত হয়।

বিজ্ঞাপন

মানুষের যাতে কষ্ট না হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বন্যাও মোকাবিলা করব, খেলাধুলাও চলবে। সবি আমাদের চলবে। এটাই আমাদের জীবন। এটাই মেনে নিতে হবে।

১৯৯৮ সালে বন্যা পরবর্তী সময়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৮ সালে কিন্তু ভয়াবহ বন্যা ছিল। সেই সময় বন্যায় আমরা একদিকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সহযোগিতা করেছি। পাশাপাশি তখন কিন্তু আমরা বাংলাদেশে মিনি বিশ্বকাপ করেছিলাম। যদিও এটা নিয়ে অনেকে নানারকম সমালোচনা করেছে। কিন্তু আমি আগেই বললাম, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে আমাদের চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী নিজের পরিবারের সদস্যদের খেলাধুলায় জড়িত থাকার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের পরিবারটা সবসময় খেলাধুলায় জড়িত ছিল। আমার বাবা যেমন ফুটবল প্লেয়ার ছিলেন, আমার দাদাও ফুটবল প্লেয়ার ছিলেন।

‘খেলাধুলার দিকে দৃষ্টি আমি শুধু সরকারে এসেছি বলে না, এমনকি সরকারে যখন ছিলামও না তখন থেকেই আমাদের দেশে কিভাবে খেলাধুলা উন্নত হতে পারে, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতাম। খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করতাম।’- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন