বিজ্ঞাপন

পদ্মা সেতু: দুর্ভোগ থাকবে না দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায়

June 24, 2022 | 10:36 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

মানিকগঞ্জ: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির অন্যতম ঠিকানা পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই নৌপথে আগের চিরচেনা দুর্ভোগ থাকবে না। পাল্টে যাবে দৃশ্যপট, যাতায়াতে মিলবে স্বস্তি। পাটুরিয়া কিংবা দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনগুলোকে যানজটের কবলে পড়ে থাকতে হবে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

বিজ্ঞাপন

প্রায় দুই যুগ ধরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার মানুষের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান প্রবেশপথ পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া নৌপথ। ২০০২ সালে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে চালু করা হয় ফেরি সার্ভিস। এরপর থেকেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়। তবে ফেরি চালু হলেও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের রাজধানীর ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এই পথে যাতায়াতে পোহাতে হতো চরম দুর্ভোগ। ট্রাক এবং ছোট বড় বাসের লম্বা লাইন উভয়ঘাট ছাড়িয়ে চলে যেত মাইলের পর মাইল।

বিআইডাব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের মতে, পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া দুই প্রান্ত মিলে গড়ে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয় দুই ইদের সময়। ইদে ঘরমুখো মানুষজনকে ফেরির দেখা পেতে ১০-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত যানবাহনের ভেতর অপেক্ষায় থাকতে হয়। সব মিলিয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির অন্যতম একটি নাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছেন এই পথ দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষ, যানবাহন চালক এবং ঘাট সংশ্লিষ্টরা।

এই রুটে নিয়মিত চলাচলকারী যশোরের যাত্রী আলম মিয়া বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ অনেকাংশেই কমে যাবে। বিশেষ করে বাস এবং ছোট গাড়িগুলো পদ্মা সেতু ব্যবহার করবে। ফলে এই দুটি ঘাটে মানুষের দুর্ভোগ কমে যাবে। যানবাহনের চাপ কমে গেলে মানুষজন স্বস্তিতে ফেরি পারাপার হতে পারবে।

বিজ্ঞাপন

রাজবাড়ীর জেলার যাত্রী আকমল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে আমাদের দুর্ভোগ কমে যাবে। গাড়ির চাপ কমে গেলে ভোগান্তি থাকবে না।

ট্রাক চালক ইদ্রিস মিয়া বলেন, প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ পারি দিই। যানজটের কারণে অনেক সময় ৩-৪ দিন পর্যন্ত পাটুরিয়া কিংবা দৌলতদিয়া ঘাটে আমাদের পড়ে থাকতে হয়।

বিআইডাব্লিউটিসির ডিজিএম শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ সারাবাংলাকে বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির চাপ কমে যাবে। তবে ট্রাক পারাপার আগের মতোই থাকবে। ট্রাক পারাপার কমবে না।

বিজ্ঞাপন

ঘাট যানবাহনের চাপ কমে গেলে ফেরি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে কি না, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আপাতত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে থেকে ফেরি কমানোর কোনো চিন্তাভাবনা করছি না। বর্তমানে রোরো, ইউটিলিটি, ড্রাম ফেরি মিলে ২১টি ফেরি চলাচল করছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরও আমরা এখানে পর্যাপ্ত ফেরি রাখব। জরুরি ভিত্তিতে যেকোনো সমস্যা হতে পারে। তাই সার্বক্ষণিক ২০টি ফেরি সচল রাখব। কারণ যেকোনো সময় যানবাহনের চাপ বড়তে পারে।

সারাবাংলা/এএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন