বিজ্ঞাপন

সাড়ে ৩ ঘণ্টায় বরিশাল, যাত্রীদের উচ্ছ্বাস

June 26, 2022 | 6:13 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বরিশাল: চলাচলের সুযোগ পেয়েই পদ্মা সেতুতে নেমেছে যানবাহনের ঢল। রাজধানী ঢাকা থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলাতেই ছুটছে যাত্রীবাহী বাস। প্রত্যাশা অনুযায়ী আগের তুলনায় অনেক কম সময়েই যেতে পারছেন গন্তব্যে। বরিশালের যাত্রীরাও যেমন মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টাতেই সায়দাবাদ টার্মিনাল থেকে পৌঁছে গেছেন বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে। তাতে উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে তাদের মধ্যে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধনের পর রোববার (২৬ জুন) সকাল ৬টাতেই পদ্মা সেতু যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা ছিল পদ্মা সেতু। এর আগে থেকেই যানবাহনের চাপ তৈরি হওয়ায় টোল প্লাজা খুলে দেওয়া হয় পৌনে ৬টাতেই। ওই সময় থেকেই নিরবচ্ছিন্নভাবে যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে দক্ষিণের পথে ছুটছে বাসগুলো।

বরিশালের নথুল্লাবাদ টার্মিনালে সকাল থেকেই যেমন ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ ছিল, তেমনি সকাল ১০টার পর থেকেই ঢাকা থেকে বাসগুলো পৌঁছাতে শুরু করে এই টার্মিনালে। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, প্রথম দিনে সেতুতে যানবাহনের চাপের কারণে টোল ঘরে কিছুটা দেরি হলেও তাতে খুব একটা অখুশি নন তারা।

বিজ্ঞাপন

রোববার সকালে সরজমিনে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল সোয়া ১০টায় সাকুরা পরিবহনের একটি বাস ৪০ জন যাত্রী নিয়ে থামল এই টার্মিনালে। বাসের যাত্রী ও শ্রমিকরা জানালেন, পদ্মা সেতু হয়ে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে এসে পৌঁছান তারা। যাত্রীদের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। ছিলেন ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। সময় বাঁচিয়ে ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই বরিশালে আসতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত বাসটির যাত্রীরা।

যাত্রার বর্ণনা দিয়ে দুই যাত্রী আইয়ুব আলি খান ও রাকিব হোসেন বলেন, সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বাসটি রওনা দেয়। টোল ঘরে ভিড় থাকায় সেখানে কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এরপর আর থামতে হয়নি তাদের। মাত্র ছয়-সাত মিনিটে পদ্মা সেতু পার হয়ে সকাল সোয়া ১০টায় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে নেমেছেন।

রাকিব হোসেন বলেন, মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে বরিশালে এলাম। আগে কখনো কল্পনাও করিনি। অনেক ভালো লাগছে। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যেমন সময় বাঁচবে, তেমনি ভোগান্তিও কমবে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন পয়েন্টে বেগ পেতে হচ্ছে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন