বিজ্ঞাপন

‘ইভিএমে ইন্টারনেট না থাকায় হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনা নেই’

June 28, 2022 | 8:32 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ইভিএমের সঙ্গে ইন্টারনেটের কোনো সম্পর্ক না থাকায় হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ব্যালটে হবে না কি ইভিএমে হবে- এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৮ জুন) মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইভিএম বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের মতবিনিময়কালে সিইসি এসব কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইভিএমের সঙ্গে ইন্টারনেটের কোনো সম্পর্ক না থাকায় হ্যাকিংয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। গুজব শুনতে খুব ভালো লেগেছে। আমার জীবনও সেভাবে কেটেছে। এখন আমাকে নিয়ে যেসব কথা শুনি, সেগুলো কিন্তু সত্য নয়। অথচ আমি আগে এভাবেই গুজব বিশ্বাস করতাম। আসলে মানুষের স্বভাবটাই হলো গুজব শুনতে খুব ভালো লাগে।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমাদের সব আলোচনা লিপিবদ্ধ করেছি। আমাদের সামর্থ্য কতটা, তা দেখব। এরপর সিদ্ধান্ত নেব। ইভিএমে সম্পূর্ণ বা ফিফটি ফিফটি করব কি-না সে সিদ্ধান্ত নেব। আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করব, তখন এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আমরা কিন্তু কোনো বাজে মতলব নিয়ে আসিনি।’

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, সেই সময় সরকার থাকবে, কিন্তু আওয়ামী লীগ থাকবে না। সরকার আর আওয়ামী লীগ এক না। আমরা সরকারের কাছ থেকে হেল্প নেব। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আমরা কোনো হেল্প নেব না। প্রশ্নই আসে না।’

তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা দু’টি সংলাপ করেছি। অনেকেই কিন্তু ইভিএমের পক্ষে বলেছেন। অনেকে সল্যুশন দিয়ে বলেছেন, আরও উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে যদি ইভিএম কেনা যায় তাহলে ভালো হয়। আবার অনেকে সরাসরি বলেছেন, আমরা ইভিএমে নির্বাচনে যাব না। আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করব, সে সিদ্ধান্ত আমাদেরই নিতে হবে।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা সহায়তা পাওয়ার অধিকারী। সেই সহায়তা আমরা আদায় করে নেব। যে সহায়তার আমরা প্রাপ্য সেই সহায়তা আমাদের দিতে হবে। আমরা সবার মধ্যে ঐক্য চাচ্ছি, নির্বাচনের মাঠে সবাই থাকবে। বিভিন্ন পার্টির উপস্থিতি কিন্তু এক ধরনের ভারসাম্য সৃষ্টি করে নির্বাচনের মাঠে।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি না- এ বিষয়ে মতামত জানতে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগসহ ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তৃতীয় ধাপের সংলাপে ১৩টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে নয়টি দল অংশ নেয়। এছাড়াও এদিন প্রথম ধাপে ডাক পাওয়া গণফোরামও এদিন সংলাপে অংশ নেয়। এর আগে গত ১৯ জুন প্রথম ধাপে এবং ২১ জুন দ্বিতীয় ধাপে সংলাপ করে ইসি। তিন ধাপে সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া ৩৯টি দলের মধ্যে ১২টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি।

এদিকে, মঙ্গলবার তৃতীয় ধাপে আমন্ত্রণ জানানো ১৩টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে নয়টিসহ মোট ১০টি দল ইসির সংলাপে অংশ নেয়। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম এল), গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বাংলদেশ ন্যাশনাল আ্ওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট পার্টি( মুক্তিজোট) এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশ।

অন্যদিকে, এদিন ইসির সংলাপে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ ও বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি তৃতীয় ধাপের সংলাপে অংশ নেয়নি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন