বিজ্ঞাপন

৪ কেন্দ্রে নতুন ভোট, গেজেট স্থগিতের দাবিতে মামলা করবেন সাক্কু

June 28, 2022 | 8:47 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রের ফল বাতিল করার দাবি নিয়ে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে যাবেন পরাজিত মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু। ট্রাইব্যুনালে গেজেট স্থগিত করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিও জানাবেন তিনি। আগামী ২২ জুলাইয়ের মধ্যেই এ সংক্রান্ত মামলাটি করবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৮ জুন) সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কুসিক নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও এই সিটির দুই মেয়াদের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু নিজেই সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সাক্কু বলেন, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের কেন্দ্র থেকে শিল্পকলায় যেতে সময় লাগে মাত্র পাঁচ মিনিট। আধা কিলোমিটারেরও কম দুরত্বে এই রাস্তা পার করতে এর বেশি তো লাগার কথা না। কিন্তু এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার এজেন্টদের ফলাফল বিবরণী না দিয়ে দ্রুত চলে যান।

তিনি বলেন, দিশাবন্দের দুইটি কেন্দ্রের ফল দেওয়া হয়েছে দেরিতে। সেখানে নতুন ও পুরোনো ভবন ভোটকেন্দ্রে ফলাফলের তালিকায় যে সই ও পিন নম্বর আছে, সেটি আমার এজেন্টদের না। শালবন বিহার কেন্দ্রের ফলও দেরি করেছে। সেখানে দেওয়া ভোটের ফলাফলে আমার এজেন্টের কোনো সই ছিল না। অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী ক্যান্ডিডেটদের এজেন্টদেরও ছিল না।

বিজ্ঞাপন

ফলাফল ঘোষণার সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার অবৈধ হস্তক্ষেপ ও অদৃশ্য রাজনৈতিক শক্তির প্রভাবের কারণে ফলাফল ঘোষণায় অরাজকতা দেখা হয় বলে অভিযোগ জানান মনিরুল হক সাক্কু। তিনি বলেন, শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয় ফল দেওয়ার সময়। আমার ওপরে হামলা করা হয়, যা সবাই দেখেছে। সেখানে উপস্থিত শত শত সাংবাদিক দেখেছেন কেমন পরিবেশ তারা তৈরি করেছিল। তাই আমি এই চার কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করার দাবি জানাই। একইসঙ্গে এই কেন্দ্রগুলোতে নতুনভাবে ভোটগ্রহণের দাবিও জানাই।

এর আগে, গত ২২ জুন নির্বাচনের চারটি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল বাতিল ও গেজেট স্থগিত করে নতুনভাবে নির্বাচনের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করেন মো. মনিরুল হক। আবেদনে তিনি জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তা মেয়র পদে ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল একটি একটি করে ঘোষণা করেন। ওই সময় প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের চেয়ে ৬২৯ ভোটে এগিয়ে ছিলেন সাক্কু। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তা অজ্ঞাত টেলিফোন পেয়ে পাঁচ মিনিট সময় চান। তিনি তার চেয়ার থেকে উঠে যান এবং ফলাফল স্থগিত করেন। আইন ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাকি চারটি ভোটকেন্দ্রের মেয়র প্রার্থীর ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তা কাউন্সিলর পদে ফলাফল ঘোষণার পদক্ষেপ নেন। তখন মনিরুল হক ও তার নির্বাচনি এজেন্ট প্রতিবাদ করেন।

আবেদনপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিবাদের পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ৪৫ মিনিট ফল স্থগিত রাখেন। তারপর ফলাফল একটি একটি করে ঘোষণা না করে অঘোষিত চারটি কেন্দ্রের ফলাফল ১০১টি ভোটকেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোটের সঙ্গে যোগ করে ঘোষণা করেন। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হককে ৫০ হাজার ৩১০ ভোট দেখিয়ে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরে গেজেট স্থগিত করার আবেদন আমি করেছিলাম। কিন্তু তাও নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে।

এর আগে, ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আরফানুল হককে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ২৩ জুন নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র আরফানুল হক রিফাত, ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ৯টি সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলরদের গেজেট প্রকাশিত হয়। ২৬ জুন ওই গেজেট বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানো হয়।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন