বিজ্ঞাপন

সংসদে হারুন-রাঙ্গাঁ’র কথা কাটাকাটি

June 29, 2022 | 11:45 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের বক্তব্যে বাধা দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ। এ সময় দুই নেতা পাল্টাপাল্টি কথাও বলেন ৷

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে অর্থ বিলের ওপর আলোচনার সময় দুই নেতার কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এ হুমকির ঘটনা ঘটে।

এর আগেও গত অধিবেশনে বিএনপির হারুনের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে বিরোধীদলের চিফ হুইপ রাঙ্গাঁ সংসদের লবিতে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তিনি দায়ী থাকবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

অর্থ বিলের সংশোধনীর ওপর আলোচনার সময় বিএনপি সদস্য হারুনুর রশীদ তার বক্তব্যে স্পিকারের বিরুদ্ধে সময় না দেওয়ার অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকারি দলের সদস্যদের অনির্ধারিত বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু আমাদেরকে সময় বাড়িয়ে দিতে আপনি ডিফেন্সিভ থাকেন। বাজেটের ওপর মাসব্যাপী এই আলোচনায় বাজেট নিয়ে খুবই কম কথা হয়েছে। পুরো কথা হয়েছে পদ্মাসেতু নিয়ে। বিশেষ অধিকারের নোটিশে সময় বেঁধে দিয়েছেন দুই মিনিট। এটি অতীতে হয়নি। আমরা মাত্র কয়েকজন সদস্য। আমরা কথা বলতে গেলে এত যদি আপত্তি ও বাধা থাকে তাহলে বলেন, আমরা সংসদ ছেড়ে চলে যাই। সংসদে কথা বলার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে আপনাকে।’

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে স্পিকার বলেন, ‘এক মিনিট কেন আপনাকে চার মিনিট সময় দেওয়া হয়েছে। কথা বলার সময় তো খেয়াল থাকে না। আপনাদের প্রাপ্য সময়ের তুলনায় বেশি সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করি। আপনি যে কথাগুলো বলেছেন-সেটা ভেবে বলা প্রয়োজন।’

এর পরে রাঙ্গাঁ তার বক্তব্যে স্পিকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘একজন বিরোধী দলের সদস্য আপনাকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছেন। অন্য কোনো স্পিকার হলে তার মাইক বন্ধ করে দিতেন। আমি এটি ২০০১ সালে দেখেছি। পদ্মাসেতু নিয়ে কেন তাদের এত গাত্রদাহ?’

রাঙ্গাঁ হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমরা বিরোধী দল থেকে চাইব, সরকারকে উৎখাত করতে। কিন্তু আল্লাহ না চাইলে কিভাবে সরকার উৎখাত করব। প্রধানমন্ত্রী এখন দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় ব্যক্তি। পদ্মা সেতুতে এমন জনপ্রিয়তা বেড়েছে যেন বিএনপির মতো জাতীয় পার্টিকে থালা নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

এ সময় হারুন সিটে বসেই বলেন, ‘এখন সময় বাড়িয়ে দেন।’

সঙ্গে সঙ্গে রাঙ্গাঁ বলেন, ‘আপনাকে কি চিফ হুইপের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে?’

এ সময় রাঙা স্পিকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি দুঃখ প্রকাশ করে বলছি— উনি (হারুন) যখন সংসদে কথা বলবেন, তখন আমি কিন্তু কথা বলব। ওনাকে কথা বলতে দেব না।’

এর পরে সংশোধনীর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির হারুন বলেন, ‘এখানে অনেক বিষয় এসেছে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমন দলকে বিরোধী দলে এনে বসেছেন। আমি জীবনেও এ ধরনের আলোচনা শুনি নাই। যে ধরনের হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আমি সত্যি আতঙ্কিত। এই সংসদে সাড়ে তিনশর মধ্যে আমরা মাত্র কয়েকজন। এত যদি হুমকি ধামকি দেন আমরা তো চ্যাপ্টা নয় ভর্তা হয়ে যাব। এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের সুরক্ষা দেওয়া ব্যবস্থা করেন। বাইরের পারসেপশন এটি এককেন্দ্রীক সংসদ হয়ে গেছে। এভাবে পার্লামেন্ট হয় না।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন