ঠাকুরগাঁও আ.লীগে প্রার্থীর ছড়াছড়ি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ঠাকুরগাঁও: জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় ২৭শে জুলাই অসমাপ্ত তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখে একজন প্রার্থী ছাড়া সকলের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর ই আলম। যাচাই বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকালে এই ঘোষণা দেন তিনি।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে এক জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। ৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১৩৮ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪৪ জন।

মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে বাঁচোর ইউপি‘র ১নং ওয়ার্ডের দরুল পাল নামে এক সাধারণ সদস্য প্রার্থী ঋনখেলাপি থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তবে উল্লেখ করা হয়, তিনি যদি ব্যাংক থেকে ঋণ পরিশোধের প্রত্যয়ন আনতে পারেন, তাহলে আপিল বিভাগে বৈধ ঘোষণার সুযোগ আছে।

নির্বাচন কার্যালয় আরও জানায় প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৭ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ ৮ জুলাই এবং ভোট গ্রহণ আগামী ২৭ জুলাই। উপজেলায় এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি ও ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি এম জি গোলাম রব্বানী, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মমতাজ আলী মাস্টার ও আদিবাসী নেতা সুজন মুর্মু।

অপরদিকে বাঁচোর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জীতেন্দ্রনাথ বর্মন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির উপজেলা সভাপতি আজিজুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতারুল ইসলাম শালমান শাহ, জ্যোতিষ চন্দ্র রায় মাস্টার ও আরজুনা বেগম।

নন্দুয়ার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি আবু সুলতান, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আল্লামা ইকবাল, ইউনিয়ন আ.লীগ সহ-সভাপতি দিগেন্দ্রনাথ রায়, উপজেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বাকী, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জমিরুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বাদশা আলম এবং হাফেজ মাওলানা শহিদুল্লাহ।

এদিকে আ.লীগ এই ৩টি ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন দিলেও দুটি ইউনিয়নে আ.লীগের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এতে বিপাকে পড়েছে আ.লীগের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে বিএনপি দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে না গেলেও তাদেরও তিনটি ইউনিয়নে রয়েছে ৪ জন প্রার্থী।

রাণীংশংকৈল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর ই আলম বলেন, সঠিক সময়ে নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।

সারাবাংলা/একেএম