বিজ্ঞাপন

সাকিব পারেননি, পারল না হায়দরাবাদও

April 22, 2018 | 8:08 pm

সারাবাংলা ডেস্ক 

বিজ্ঞাপন

হাতছানি ছিল বিরল এক ডাবলের। মাত্র এক উইকেট পেলেই টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৩০০ উইকেট ও ৪ হাজার রান হয়ে যেত সাকিব আল হাসানের। সেটা আর হয়নি, এক উইকেটের অপেক্ষা বেড়েছে। পরে ব্যাট হাতেও পরিস্থিতির দাবিটা মেটাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা একটুর জন্য হেরে যাওয়ায় সেই সান্ত্বনাও পাননি সাকিব।

ব্যাটিংয়ে যখন সাকিব নেমেছিলেন, তখন বেশ বিপদেই পড়ে গেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৪.৩ ওভারেই ২২ রানে হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট; একে একে ফিরে গেছেন রিকি ভুই, মনীশ পান্ডে ও দীপক হুদা। প্রথম চার বলে তেমন কিছু করতে পারলেন না সাকিব, মুখোমুখি পঞ্চম বলে ওয়াটসনকে আছড়ে ফেললেন সীমানার ওপারে।

পরিস্থিতির দাবিটা তখন আরও বেশি কিছু আশা করছিল সাকিব ও কেন উইলিয়ামসনের কাছ থেকে। সাকিব শুরুটা খারাপ করেননি, চাহারের বলে চার মেরে ১১ বলে ১৮ রানে পৌঁছলেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই। লেগ স্পিনার কর্ন শর্মার ওভারে প্রথম দুই বল ডট গে। চাপটা একটু বাড়ল, সেই চাপেই সাকিব করলেন ভুল। সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন শর্ট ফাইন লেগে। ১৯ বলে ২৪ রানেই থেমে গেল সাকিবের ইনিংস।

বিজ্ঞাপন

সানরাইজার্সের আশা বলতে গেলে তখন প্রায় শেষ। ওভারপ্রতি তখন ১৩র বেশি রান দরকার। সেখান থেকেই বিস্ফোরণের শুরু উইলিয়ামসনের, শর্মার এক ওভারে মারলেন তিন ছয়। ওদিকে ইউসুফ পাঠানও যোগ দিয়েছেন তাঁর সঙ্গে, শেষ ৪ ওভারে রান নিয়ে এলেন ৫২তে। কিন্তু সেটা আর শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হলো না, ৫১ বলে ৮৪ রান করে আউট হয়ে গেলেন। ইউসুফ পাঠানও চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাঁর ২৭ বলে ৪৫ রান শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পারল।

এরপরও অবশ্য হয়েছে অবেক নাটক। শেষ ওভারে দরকার ১৯, প্রথম তিন বলে এলো ৩ রান। চতুর্থ বলে ছয় মারলেন রশীদ খান, পরের বলে চার। শেষ বলে দরকার ৬ রান, রশীদ শেষ পর্যন্ত করতে পারলেন ১ রান। সানরাজার্স শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা হেরে গেল ৪ রানে। পাঁচ ম্যাচে সানরাইজার্সের এটা দ্বিতীয় হার, আর সমান ম্যাচে চেন্নাইয়ের চতুর্থ জয়। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায়ও সবার ওপরে চলে গেল চেন্নাই।

তার আগে ফিল্ডিংয়ে নেমে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে নিজের প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি সাকিব । নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরও ৫ রান দিলেও থাকেন উইকেট শূন্য। নিজের তৃতীয় এবং ম্যাচের ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে সুরেশ রায়নাকে ক্যাচ আউটের জোরালো দাবী জানিয়েছিলেন সাকিব। বল রায়নার ব্যাট-গ্লাভসকে ফাঁকি দিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে জমা পড়ে। সে ওভারে কোনো উইকেট না পেলে ৯ রান খরচ করেন সাকিব।

বিজ্ঞাপন

ম্যাচের ১৫তম ওভারে নিজের শেষ ওভারটি করতে এসে ১৪ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি। ফলে, ৩০০ উইকেটের মালিক হওয়া হয়নি সাকিবের। ধরতে পারেননি ক্রিকেটের দারুণ এক ‘ডাবল’ ইতিহাসকে। ৪ ওভারে সাকিব ৩২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।

সারাবাংলা/ এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন