বিজ্ঞাপন

ডিসেম্বরে খুলছে বঙ্গবন্ধু টানেল— জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

July 29, 2022 | 8:21 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’র প্রথম টিউব অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরে খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। একই টানেলের দ্বিতীয় টিউব ডিসেম্বরে খুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সে হিসাবে ডিসেম্বরেই পুরোপুরি চালু হচ্ছে চট্টগ্রামের বহুল প্রতীক্ষিত এই টানেল।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এদিন চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আশা করি অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একটি টিউব খুলে দেবো ইনশাল্লাহ। আর ডিসেম্বরে মধ্যে দ্বিতীয়টাও আমরা খুলে দেবো। টানেল ওপেন হয়ে যাবে।’

বিজ্ঞাপন

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটা খুব স্মুথলি ইমপ্লিমেন্টেড হয়েছে। এত বড় একটা প্রজেক্ট, একেবারে রাইট অন টাইমে যে বাস্তবায়িত হচ্ছে, এটা একেবারে গ্রেট একটা সাকসেস আমাদের দেশের জন্য। এটা বাংলাদেশের জন্য একটা মডেল হিসেবে ট্রিটেড হবে যে এত বড় প্রজেক্ট স্মুথলি ও টাইমলি উইদাউট অ্যানি কস্ট ভ্যারিয়েশন কীভাবে এটা ইমপ্লিমেন্ট করা সম্ভব। টানেল প্রজেক্টে স্থানীয়রা অনেক সহযোগিতা করেছেন। সবাইকে ধন্যবাদ। দুই পাড়ের যারা পলিটিক্যাল নেতা, উনারও খুব সহায়তা করেছেন।’

কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তুলতে টানেল প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। নির্মাণ কাজ করছে চীনা কোম্পানি ‘চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’ (সিসিসি)। চলতি জুলাই পর্যন্ত সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

 

প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই টানেলে প্রতিটি টিউব বা সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। একটির সঙ্গে আরেক টিউবের দূরত্ব ১২ মিটারের মতো। প্রতিটি টিউবে দু’টি করে মোট চারটি লেন তৈরি করা হয়েছে। টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম ও প্রান্তে থাকছে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। এছাড়া ৭২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ওভারব্রিজ রয়েছে আনোয়ারা প্রান্তে।

নগরীর পতেঙ্গায় ন্যাভাল একাডেমির পাশ দিয়ে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় নেমে যাওয়া এই টানেল কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ-পূর্বে আনোয়ারায় সিইউএফএল ও কাফকোর মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে স্থলপথে বের হবে। ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার টানেলে দু’টি টিউব দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে। টানেলের উত্তরে নগরীর দিকে আউটার রিং রোড, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কাটগড় সড়ক, বিমানবন্দর সড়ক এবং পতেঙ্গা বিচ সড়ক দিয়ে টানেলে প্রবেশ করা যাবে।

নদীর তলদেশের টানেলের দু’টি টিউব নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। টানেলের ভেতরে অবকাঠামোগত কাজ চলছে। মূল টানেল এবং সংযুক্ত সড়ক তৈরিসহ সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। ডিসেম্বরের মধ্যে টানেলের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সেতু বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন