বিজ্ঞাপন

দুর্নীতি মামলায় রিজেন্ট সাহেদের জামিন স্থগিত

August 1, 2022 | 5:14 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) পৌনে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১ আগস্ট) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত ২৮ জুলাই জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে সাহেদকে জামিন দেন বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ওইদিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাশ-উদুল হক আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। পরে জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ চেম্বার আদালত তার জামিন স্থগিত করেন।

বিজ্ঞাপন

২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ঋণের নামে জালিয়াতি করে পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) পৌনে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিম, বাবুল চিশতীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন)।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহাজাহান মিরাজ বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলা করে দুদক।

দুদক জানায়, পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিশ্বাস ভঙ্গ করে অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংকের এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন, যা চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত সুদ-আসলে দাঁড়ায় দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

মামলায় অন্যতম আসামি হলেন- সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) উদ্যোক্তা পরিচালক ও ক্রেডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী।

অন্য দুই আসামি হলেন- বাবুল চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী ও রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি মো. ইব্রাহিম খলিল। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২-এর ৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের টেস্ট নিয়ে জালিয়াতির বিস্তর অভিযোগ ওঠার পর ২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। ওই বছরের ৭ জুলাই রাতে উত্তর-পশ্চিম থানায় সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। এরপর ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণা, অর্থপাচারসহ নানা অভিযোগে সাহেদের বিরুদ্ধে সারাদেশে অর্ধশত মামলা রয়েছে। সাহেদ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন