বিজ্ঞাপন

‘ক্রিকেটাররাই বলতে পারবে সমস্যা কোথায়’

August 3, 2022 | 8:52 pm

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ঠিক কতোটা পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজটা তার উপযুক্ত একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। সিরিজ জিততে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৫৭ রান করতে হতো। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে যোজন যোজন পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই রানটাই করতে পারল না বাংলাদেশ। ১০ রানে হেরে প্রথমবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারতে হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত ১৫ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ২টি। এই ফরম্যাটে যতোদিন ধরে খেলছে ততোদিন ধরেই ভুগছে বাংলাদেশ। সমস্যাটা কোথায়? টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন সরাসরি দোষ দিলেন ক্রিকেটারদের।

কাল হারারেতে ৬৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত ১৫৬ রান তোলে। পরে বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও মাহমুদউল্লাহ, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন ধ্রুবরা যখন ব্যাট করছিলেন তখন সমীকরণ সহজই ছিল। শেষ দুই ওভারে ২৬ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। আধুনিক ধুমধারাক্কা টি-টোয়েন্টিতে এ আর তেমন কি! কিন্তু এই সমীকরণ মেলাতে পারল না বাংলাদেশ।

৫ আগস্ট থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন টাইগাররা। আজ থেকে অনুশীলন শুরু হয়ে গেছে ওয়ানডে দলের। অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হতাশাই বেশি প্রকাশ করলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমি খুব হতাশ। আমরা বারবার বলি নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে। কিন্তু আমরা কবে সে শিক্ষাটা নেব। আমি পুরোপুরি ক্রিকেটারদের দোষ দেব। তাদের এক্সিকিউশনে সমস্যা ছিল।’

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুজন, ‘এখানে আমাদের জেতাটাই স্বাভাবিক ছিল। হারটা ছিল অস্বাভাবিক। আমরা জানি যে ওভারে আমাদের ১০-১২ করে লাগবে। কেউ দেখলাম যে একটাও ছয় মারার চেষ্টা করছে না। সবাই ২-১ করে নিচ্ছে। আমি একটা স্কোর করে নিজের জায়গাটা ঠিক রাখলাম, এটা কি ওই ধরনের কিছু কি না, আমি ঠিক জানি না। আপনি যদি ১০০ স্ট্রাইক রেটে খেলেন, তাহলে এখানে রান তাড়া করে জিততে পারবেন না। একজন-দুজনকে তো শট খেলতে হবে। ওদের দুজন ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট দেখুন। এখানে ভিন্ন কিছু করার প্রয়োজন ছিল না। শর্ট বলকে যদি পুল করে ছক্কা মারার আত্মবিশ্বাস না থাকে, তাহলে তো মুশকিল।’

বিজ্ঞাপন

তরুণ ক্রিকেটাররা বারবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারছেন না। এনামুল হক বিজয় ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছেন, কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের মতো রান পেলেন না জিম্বাবুয়েতেও। মুনিম শাহরিয়ার গত বিপিএলের দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন, ইতোমধ্যেই পাঁচ ম্যাচ খেলা মুনিমও রান পাননি। নাজমুল হোসেন শান্তও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ।

গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও চলতি জিম্বাবুয়ে সিরিজ মিলিয়ে বিজয়, মুনিম, শান্ত তিনজনই বেশ কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তবু কেন রান পাচ্ছেন না তার উত্তর ক্রিকেটারদের কাছেই খুঁজতে বললেন সুজন।

তিনি বলেন, ‘যাদের দলে নেওয়া হয়েছে তারা সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করা ক্রিকেটার। সবাই পারফর্ম করেই এখানে এসেছে। মুনিম শাহরিয়ারের যদি কথা বলেন, পারভেজের কথা বলেন, দুজনই লোকাল টি-টোয়েন্টিতে পারফর্ম করা ক্রিকেটার। আপনি সেরা পারফর্মারদেরই তো নিয়ে এসেছেন। তারা যদি পারফর্ম না করে তাহলে কী আর করার থাকে!’

টিম ডিরেক্টর বলেন, ‘করণীয়টা কী এটা ক্রিকেটাররাই বলতে পারবে। এমন না যে ছেলেরা এখন দলে আসছে আর যাচ্ছে। তারা একটা সময়ের জন্য সুযোগ পাচ্ছে। তারা জানে যে তাদের জায়গা নিয়ে এত কাড়াকাড়ি নেই। তাদের ঠিকঠাক সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় তো মন খুলে খেলা উচিত। আমি ওই মন খুলে খেলাটা দেখতে পাচ্ছি না।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন