বিজ্ঞাপন

বেপরোয়া গাড়ি ঠেকাতে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে

April 23, 2018 | 4:19 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সড়কে বেপরোয়া গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে রাজধানীতে অভিযান শুরু করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মিরপুর ১০ নাম্বার গোলচত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৪টি মামলায় ৯৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) মিরপুর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজনের নেতৃত্বে একটি টিম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় কাফরুল থানার আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় বেপরোয়ার গাড়ি চলানোর দায়ে ২০ জনেরও অধিক চালককে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে এ অভিযান চলে বিকেল তিনটা পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

অভিযানে লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির এবং ট্রাফিক আইন অমান্যকারী চালকদের জরিমানা করা হয়। এবং ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার না করায় অনেক পথচারীকেই অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

পরে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় সড়ক দুর্ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এসব বেপরোয়া চলকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ আমরা ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়েছি। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে, লাইসেন্সবিহীন চালক, হেলমেট ছাড়া মোটর বাইক চালানোসহ ফিটনেস বিহীন গাড়ি চালানোর দায়ে আজ ৪৪টি মামলা দায়ের ও ৯৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সড়ক দুর্ঘটনারোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি মালিক-শ্রমিকদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে এ ধরণের দুর্ঘটনা অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হবে বলেও জানান এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

তিনি বলেন, ঢাকায় সাতটি ও চট্টগ্রামে তিনটিসহ মোট ১০টি ভ্রাম্যমান আদালত রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চাইলে স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, একদিন দুদিন মোবাইকোর্ট করে করে কোনো লাভ হয় না। মোবাইল কোর্ট চলে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এটা একটা অসুস্থ প্রতিযোগীতা। এটা থামতে হলে প্রয়োজন সার্বক্ষণিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন