বিজ্ঞাপন

দেশে প্রথমবারের মতো বিলুপ্তপ্রায় বরালি মাছ নিয়ে গবেষণা

April 24, 2018 | 5:52 pm

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মাছ বরালি নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সৈয়দপুর উপকেন্দ্র। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে মাছটির পোনা সরবরাহ নিশ্চিত করা হলে সুস্বাদু মাছ হিসেবে পরিচিতি বরালি মাছ চাষের আওতায় আসবে এবং বিপন্নের হাত থেকেও রক্ষা পাবে। এতে করে দেশের উত্তরাঞ্চলে মৎস্য উৎপাদনে মাছটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মৎস্য বিজ্ঞানীরা জানান ।

সুস্বাদু মিঠা পানির মাছ বরালি আমাদের দেশে বৈরালি ও খোকসা নামে পরিচিত। মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Barilius barila। এছাড়াও Barilius barna, Barilius bendelissis, Barilius tileo, Barilius vagra প্রজাতি রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মিঠা পানির জলাশয় বিশেষ করে খাল, বিল, পাহাড়ি ঝর্ণা ও অগভীর স্বচ্ছনদীতে মাছটি পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৫টি প্রজাতি রয়েছে যেগুলোকে IUCN (২০১৫) ইতোমধ্যেই বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে ঘোষণা করেছে। কৃষি জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশকে ব্যবহার, নদীতে বানা ও কারেন্ট জাল ব্যবহার এবং বিভিন্ন জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরায় দিন দিন অন্যান্য মাছের মতো এ মাছের প্রাচুর্য হ্রাস পাচ্ছে।

বিপন্নের হাত থেকে রক্ষার লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, স্বাদুপানি উপকেন্দ্র, সৈয়দপুর কর্তৃক রংপুরের চিকলি নদী ও দিনাজপুরের আত্রাই নদী হতে বরালি মাছসহ অন্যান্য প্রজাতিগুলো সংগ্রহ করে উপকেন্দ্রের পুকুর ও অ্যাকুরিয়ামে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ব্রুড প্রতিপালনসহ অন্যান্য গবেষণা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগত প্রজনন মৌসুমে (জুন-জুলাই) কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে বিলুপ্ত প্রজাতির বরালি মাছের পোনা উৎপাদন সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন

সৈয়দপুর উপকেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা জানান, বরালি মাছের আবাসস্থল হিসেবে বাংলাদেশের সিলেটসহ দিনাজপুর ও রংপুরের বিভিন্ন নদী ও খালকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও ভারত, নেপাল ও মিয়ানমারের বিভিন্ন জলাশয়ে মাছগুলোর অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গেছে। মাছটির দেহ লম্বা ও সরু এবং পাশে সামান্য চাপা। উভয় চোয়ালের দৈর্ঘ্যে সমান অর্থাৎ সম আকৃতির এবং পেছনের দিকে চোখের নীচ পর্যন্ত বিস্তৃত। পরিপক্ক মাছের মাথায় কয়েক সারি ছিদ্র দেখা যায়। এ মাছের কান সোনালি বর্ণের ও পাখনাগুলো গোলাপী বর্ণের হয়।

গবেষণার বিষয়ে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এরইমধ্যে বিপন্ন প্রজাতির ১৮টি মাছের প্রজনন ও চাষ কৌশল উদ্ভাবন করেছে। এবার বিপন্ন প্রজাতির বরালি মাছ নিয়ে ইনস্টিটিউটের সৈয়দপুর উপকেন্দ্র গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছে। বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ মাছটির কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন করা সম্ভব হলে দেশের মাছের জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে অবদান রাখবে।

সারাবাংলা/টিএম/একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন