বিজ্ঞাপন

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় বললেন অলোক কাপালি

August 29, 2022 | 10:05 pm

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দশ হাজার রান করার ভালো সুযোগ ছিল। কিন্তু তরুণদের সুযোগ করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ছেড়ে দিলেন অলোক কাপালি। প্রথম শ্রেণিতে অলোক কাপালির রান ৯ হাজার ১৩৮।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৯ আগস্ট) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী ক্রিকেটার। যেদিন বিদায় বলে দিলেন ১৯ বছর আগে আজকের সেই এই দিনেই বড় এক ইতিহাস গড়েছিলেন অলোক।

২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে পেশোয়ারে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। শাব্বির আহমেদ, দানিশ কানেরিয়া ও ‍উমর গুলকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছিলেন। সেই দিনটাও ছিল ২৯ আগস্ট।

আজ বিদায় ঘোষণায় অলোক কাপালি ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আমি ২০০০/০১ মৌসুম থেকে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে আসছি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে, টি–২০ ফরম্যাটে অংশগ্রহণ করেছি। এই দীর্ঘ পথচলায় অনেকেই আমাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন, উনাদেরসহ সকল শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীর কাছে আমি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমি বাংলাদেশ ও বৃহত্তর সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনের অংশ হতে পারায় গর্বিত। আমি মনে করি এখন তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য আরও বেশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। তরুণ ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে আসার জন্য এবং আমার পরিবারকে বেশি সময় দেওয়ার লক্ষ্যে আমি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ২০২২/২৩ মৌসুম থেকে শুধু লিমিটেড ওভার ক্রিকেট ( ওডিআই, টি-টোয়েন্টি ইত্যাদিতে) অংশগ্রহণ করব। আমি বৃহত্তর সিলেটের ক্রিকেটের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করছি। সিলেটের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য যেকোনো সহায়তার জন্য আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করব, প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট মর্যাদা পেয়েছে ২০০০-০১ মৌসুমে। সেই সময় থেকেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছিলেন অলোক। এই সময়ে ১৭২টি ম্যাচ খেলে ২৮৫ ইনিংস ব্যাটিং করে ৩৩.৮৪ গড়ে ৯ হাজার ১৩৮ রান করেছেন। ২০টি শতকের সঙ্গে অর্ধশতক করেছেন ৩৭টি। বল হাতে উইকেট নিয়েছেন ২১৭টি। ২০০০-০১ মৌসুম থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা শুরু করা ক্রিকেটারদের মধ্যে এখন এক মোহাম্মদ আশরাফুলই কেবল খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটা সময় বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডারের বড় ভরসা মনে করা হচ্ছিল তাকে। ২০০২ সালে শ্রীলকার বিপক্ষে অভিষেকের পর থেকে বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলেছেন ১৭টি, ওয়ানডে ৬৯টি ও টি-টোয়েন্টি ৭টি।

১৭টি টেস্টের ক্যারিয়ারে ১৭.৬০ গড়ে রান করেছেন ৫৮৪। অর্ধশতক দুটি। ৬৯ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১০.৬০ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ২৩৫। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে একমাত্র শতক পেয়েছেন এই ওয়ানডেতেই। ২০০৮ সালে ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপে। ৭টি টি-টোয়েন্টি খেলে ৫৭ রান করেছেন, সর্বোচ্চ ১৯। তিন সংস্করণ মিলিয়ে বল হাতে উইকেট নিয়েছেন ৩২টি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন