বিজ্ঞাপন

নির্মাণ হচ্ছে ‘মুজিব ব্যাটারি’ কমপ্লেক্স

December 16, 2017 | 2:13 pm

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

বিজয়ের ৪৬ বছর পর সংরক্ষণ করা হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রথম গোলন্দাজ ইউনিট ‘মুজিব ব্যাটারি’র’ স্মারক ও ঐতিহ্য আগামী প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮০ কোটি টাকা। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।

জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য একটি শক্তিশালী, চৌকস ও আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে বলে পরিকল্পনা কমিশন মনে করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটির প্রস্তাব পাওয়ার পর এরইমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

আগামী একনেকে অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের মধ্যে কমপ্লেক্সটি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দায়িত্বপালন করবে ঢাকা সেনানিবাসের পূর্ত অধিদপ্তরের সেনাসদর ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ ব্রাঞ্চ।

বিজ্ঞাপন

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে মুজিব ব্যাটারি প্রথম আর্টিলারি ইউনিট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে আত্মপ্রকাশ করে। বিজয়ের লক্ষ্যে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখে। মুজিব ব্যাটারির স্বাধীনতা যুদ্ধে ঐতিহাসিক অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতেই কমপ্লেক্স স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

২০১০ সালের ২৪ মার্চ চট্টগ্রামে অবস্থিত আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুল পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব ব্যাটারী কমপ্লেক্স নির্মাণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুধাবন করে একটি ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সটিতে একাডেমিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি একটি জাদুঘর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেখানে শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণকারী প্রথম গোলন্দাজ ইউনিট মুজিব ব্যাটারির স্মারক ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা হবে। এটি সামরিক ও বেসামরিক সকলের জন্য উম্মুক্ত থাকবে।

প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, ভূমি উন্নয়ন ও অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া  আবাসিক ভবন, অন্যান্য ভবন ও অবকাঠামো তৈরি করা হবে। সেই সঙ্গে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ, যন্ত্রপাতি  এবং সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জোজা/জিআ/একে

 

 

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন