বিজ্ঞাপন

২০ হাজার টাকার জন্য চা বিক্রেতাকে খুন করেন জাকির

September 4, 2022 | 3:21 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সাতক্ষীরা: চা বিক্রেতা ইয়াসিনকে গলাকেটে হত্যার চারদিন পর এ ঘটনার মূলহোতা জাকির হোসেনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এরপর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক শহরের বাইপাস সড়কের একটি ব্রিজের নিচ থেকে নিহতের বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়। ঋণের ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ইয়াসিনকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় র‌্যাব-৬ এর খুলনার অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোস্তাক মোর্শেদ এ তথ্য জানান। এর আগে, আজ ভোরে সদর উপজেলার আলীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার জাকির হোসেন খুলনা শহরের বাচ্চু শেখের ছেলে। তিনি সাতক্ষীরা শহরের গড়েরকান্দা এলাকায় বিয়ে করে দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই বসবাস করে আসছিলেন।

এ বিষয়ে লে. কর্নেল মোস্তাক মোর্শেদ আরও জানান, খুনি জাকির হোসেন ও নিহত চা বিক্রেতা ইয়াসিন আলী একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। এই ব্যবসার সুবাদে জাকির হোসেন নিহত ইয়াসিনের কাছে ২০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। কয়েকবার সময় দেওয়া হলেও ইয়াসিন ওই ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য গত ৩০ আগস্ট ইয়াসিনকে বাইপাস সড়ক এলাকায় রাতে একটি ঘর নির্মাণের কাজের প্রস্তাব দেন তিনি। এই প্রস্তাবে রাজী হয়ে ওই দিন রাত ১০টার দিকে জাকিরের ভ্যানের করে বাইপাস সড়কে যান ইয়াসিন।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, পরে সড়কের বকচরা এলাকা গিয়ে রাত গভীর হওয়ার জন্য ইয়াসিনের সঙ্গে গল্প করে সময়ক্ষেপণ করেন জাকির। এরপর সুযোগ বুঝে রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে ইয়াসিনকে ভ্যান চালাতে বলে পেছনে বসেন তিনি। এই সুযোগে ভ্যানের পেছন থেকে ইয়াসিনের গলায় দা দিয়ে কোপ মারেন তিনি। এ সময় ইয়াসিন সড়কের ওপর পড়ে গেলে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করেন জাকির। পরে মাথাবিহীন শরীর বাইপাস সড়কের পাসে একটি ক্যানেলে ফেলে দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি ব্রিজের তলায় ডোবার মধ্যে মাথাটি বস্তাবন্দি করে ফেলে দেন জাকির।

র‌্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনার পরদিন ৩১ আগস্ট সকালে স্থানীয়রা বাইপাস সড়কের পাশে ক্যানেলে মাথাবিহীন মরদেহটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ইয়াসিনের মরদেহ উদ্ধার করার পর সকাল ১০টার দিকে নিহতের স্ত্রী তাসলিমা মরদেহটি শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারের পর ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরপর জড়িতদের গ্রেফতারে র‌্যাব-৬ এর একটি দল গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে।

একপর্যায়ে আজ (রোববার) ভোরে সদর উপজেলার আলীপুর এলাকা থেকে ঘটনার মূলহোতা জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান লে. কর্নেল মোস্তাক মোর্শেদ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন