বিজ্ঞাপন

প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হলে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়: সিইসি

September 5, 2022 | 7:29 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। সক্রিয় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। কেন চাই? সক্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হলে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। দলগুলোই সারাবিশ্বে এ ভারসাম্য সৃষ্টি করে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী ‍নির্বাচনে সব দলকে অংশ নেওয়ার আহবান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘সবার প্রতি আন্তরিকভাবে উদাত্ত আহ্বান থাকবে আপনারা আসেন, সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখেন ও সহায়তা করেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘বিএনপি যদি আগামী নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে নির্বাচনটা অধিক অংশগ্রহণমূলক হবে। এখন বিএনপির একটি রাজনৈতিক কৌশল নিযেছে, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের কৌশলের ওপর হস্তক্ষেপ করব না, করতে পারি না। সে এখতিয়ারও আমাদের নেই। কিন্তু আমাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত রয়েছে, সে দায়িত্বের পথে আমরা এগিয়ে যাব। কাল যদি আমাকে উচ্ছেদ করে দেন, হবে। সেটার জন্য আমি তো মর্মামত হব না।’

বিজ্ঞাপন

আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘বিএনপি দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। তারা যেটা চাচ্ছে সে ব্যাপারে আমাদের কোনো রকম বাধা নেই। তবে তাদের রাজনৈতিক কৌশলে হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার আমাদের নেই। আমরা কাউকে ধরে-বেঁধে নির্বাচনে আনব না।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আজ দুটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হলো। এ অর্থে সংলাপ শেষ হলো। সিদ্ধান্ত গ্রহণে যেন সহায়ক হয় সেজন্যই সংলাপ করেছি। সংলাপ করে আমরা লিখিত আকারে সিদ্ধান্ত জানিয়েছি তাদের। ইভিএম নিয়েও বৈঠক করেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ইভিএম নিয়ে একটা সিদ্ধান্তও নিয়েছি। আমরা আমাদের নিজস্ব বিবেচনায় দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ৩০০, ১০০, ১০ বা ২০টি নয়, আমরা যৌক্তিকভাবে ব্যালট পেপারে ১৫০ আসন ও ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দলগুলোর লিখিত বক্তব্য আছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইভিএম নিয়ে অনেকের বিশ্বাস আছে, অনেকের নেই। তবে আমাদের সিদ্ধান্ত আদৌ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে কি না, সেটা নির্ভর করবে পর্যাপ্ত ইভিএম মেশিন পাওয়া না পাওয়ার ওপর। কারণ, এ মেশিনের বেশিরভাগ পার্টস আসবে বিদেশ থেকে।’

বিজ্ঞাপন

সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আমরা খুঁটিনাটি কাজ করছি। ইভিএমের মধ্যে কোনো ধরনের কারচুপি, এটা-সেটা করা সম্ভব কি না, আমরা তা খতিয়ে দেখছি। কারচুপির বিষয় কিন্তু এখনো পাইনি। ব্যক্তি শনাক্তকরণের পর আঙুলের ছাপ দিলেই ছবি ভেসে আসবে। এরপর ব্যালট ওপেন হবে। ৪০ সেকেন্ড থাকবে। এর মধ্যেই ভোট দিতে হবে।’

সিইসি বলেন, ‘আমরা শুধু দলকে নয়, সরকারকেও সংলাপ থেকে আসা মতামত জানিয়েছি। কেননা, দলগুলো কী বলছে তা সরকারেরও জানা উচিত। সরকার কিন্তু কোনো দলের নয়। সেই বিভাজনটাকে মাথায় রেখে আমরা সরকাকে জানিয়েছি। অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় বিরোধীদলগুলো। সেটাও আমরা জানিয়েছি। ভোটার তালিকা আগামী বছর মার্চ মাসে চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করব। রোডম্যাপ দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্তভাবে জানাতে পারব।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইভিএমে ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা অসুবিধা কেউ কেউ লক্ষ্য করেছেন। সেটা হলো- একজন ভোটার বুথে দাঁড়িয়ে থাকার সময় অন্য কেউ যদি ওই ভোটারকে বলেন- আপনি যান, ভোটটা আমি দিয়ে দেবো- সেই সংকটের বিষয়টিও আমাদের মাথায় আছে। এজন্য আমরা সিসি ক্যামেরা দেবো। আমরা কিন্তু কঠিন দায়িত্ব অর্পণ করব প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ওপর। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিজে না পারলে পুলিশ ডেকে বের করে দেবেন। তিনিও পারলেন না, পুলিশও পারলেন না, তখন ওই কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন