বিজ্ঞাপন

‘শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত আছেন, আ. লীগ ততদিন ক্ষমতায় থাকবে’

April 25, 2018 | 4:01 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত ও কর্মক্ষম আছেন, ততদিন পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে। বাংলাদেশের কোনো অপশক্তির ক্ষমতা নেই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করার।

বুধবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে কাজী বশির মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নাগরিকত্ব নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের জবাবে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, তার মতো ব্যক্তিও নির্লজ্জ মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, তারেক জিয়া জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক নয়। তারেক জিয়ার জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানের করাচিতে। জন্মসূত্রে যদি নাগরিকত্ব হয় তাহলে তারেক জিয়া পাকিস্তানের নাগরিক। বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল সাহেব নিজে মিথ্যাচার করে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ আনছেন এ জন্য তার প্রতি জাতির ধিক্কার ছাড়া আর কিছুই করার নেই, বলেও সমালোচনা করেন হানিফ।

বিএনপি এখন মিডিয়ার কল্যাণে বেঁচে আছে। জনগণের কাছে যাওয়ার আর কোনো মুখ ও সাংগঠনিক শক্তি নেই। প্রতিদিন তারা সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অস্তিত্বকে জানান দিচ্ছে।

বিএনপির এই করুণ দশার কারণ হিসেবে তাদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের হত্যা-সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্ববাসী বলেই আজকে এমনটা হয়েছে উল্লেখ করেন হানিফ।

বিজ্ঞাপন

হানিফ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এই বাংলাদেশে অন্যায় করে কারও পার পাওয়ার সুযোগ নেই। এই বাংলাদেশে ২০০১-০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা শুধু নয় যুদ্ধাপরাধীদর বিচার বন্ধ করার জন্য বিএনপি-জামায়াত তাণ্ডব চালিয়ে মানুষকে হত্যা করেছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার জন্য সারা দেশে তাণ্ডব চালিয়ে ৪৭জন মানুষকে হত্যা করেছিল। ২০১৫ সালে তথাকথিত অবরোধের নামে পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। এই সকল হত্যার দায়ভার বিএনপি নেতৃবৃন্দকে নিতে হবে। তাদেরকে এ সমস্ত হত্যার জন্য কাঠগড়ার দাঁড়াতে হবে এবং বিচারের মুখোমুখী হতে হবে। এই বিচার থেকে কারও রেহাই পাওয়ার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের জনগণ সেই দেখার অপেক্ষায় আছে।

সরকারের উপর কোনো চাপ নেই দাবি করে হানিফ বলেন, সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে, আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসবে। এই বাংলাদেশের জনগণ বেগম জিয়া ও তার দুর্নীতিবাজ পুত্রের নেতৃত্বে হত্যা-সন্ত্রাসের রাজনীতি দেখতে চায় না। তাই ২০১৮ সাল নয়, ২০২৪ সালে নয়, ২০২৯ সালের পরে তাদেরকে ক্ষমতায় আসার জন্য ভাবতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত আছেন। যতদিন কর্মক্ষম আছেন। ততদিন পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে। জননেত্রী শেখ হাসিনাই ততদিন বাংলার প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই থাকবে। এই বাংলাদেশের কোনো অপশক্তির ক্ষমতা নেই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করার।’

অশুভ শক্তি ও বিদেশি মদদ নিয়ে আবারও অশুভ তৎপরতা করার চক্রান্ত করতে পারে। এ জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে এদের ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করার আহ্বান জানান হানিফ।

বিজ্ঞাপন

আর ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, যে আদর্শ নিয়ে, যে চেতনা নিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। যে আদর্শ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন দিয়েছেন। আজকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রতি পদে পদে আমাদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ আমাদের প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী শক্তিরা বসে আছে।

এ কারণে ছাত্রলীগ নেতকার্মীদের রাজনীতির পাশাপাশি মেধা পরীক্ষা দিয়ে বিসিএসসহ সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক চাকরিতে যোগদানের আহ্বান জানান হানিফ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বায়জিদ আহমেদ খানের সভাপতিত্ব করেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গোলাম সারোয়ার কবির, মামুনুর রশিদ শুভ্র, মিরাজ হোসেনসহ অনেক।

এ ছাড়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সম্মেলন পরিচালনা করেন মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন