বিজ্ঞাপন

খালাস না নেওয়া ৩৮২ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করছে কাস্টমস

September 11, 2022 | 8:38 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আমদানির পরও খালাস না করায় চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ৩৮২ কনটেইনার মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এসব পণ্যের মধ্যে আছে- আমদানি করা পচনশীল দ্রব্য আদা, আপেল পেঁয়াজ, কমলা, আঙুর, হিমায়িত মাছ, মহিষের মাংস, ড্রাগন ফল, মাছের খাদ্য, লবণ, কফি, সানফ্লাওয়ার অয়েল ও রসুন। এছাড়া কিছু মেয়াদোত্তীর্ণ রায়াসনিক দ্রব্যও আছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর হালিশহরে আনন্দবাজার সিটি করপোরেশনের আবর্জনাগারে নিয়ে পণ্যগুলো ধ্বংস শুরু করা হয়। প্রথমদিনে রেফার কনটেইনারে থাকা ফলফলাদি ধ্বংস করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার তাপস সরেন জানিয়েছেন, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এসব পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে ছিল। নানা জটিলতায় আমদানিকারক এসব পণ্য ছাড় করেননি। আবার বিভিন্নসময় উদ্যোগ নিয়েও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আইনি জটিলতায় সেগুলো নিলামে বিক্রি করতে পারেনি।

৩৮২ কনটেইনারে মোট ৯ হাজার মেট্রিকটন পণ্য আছে। প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের মাধ্যমে ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ কার্যক্রম শেষ করা হবে। আর রাসায়নিক দ্রব্যগুলো সিলেটে নিয়ে ধ্বংস করা হবে।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন শেড দখল করে থাকা এসব পণ্য ধ্বংসের ফলে বন্দরে কনটেইনার জট কমবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদেশে নির্দেশে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি গত ২৯ আগস্ট এক সভায় বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮২ কন্টেইনার পচনশীল পণ্য ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দর, পরিবেশ অধিদফতর, জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, বিজিবি ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি রয়েছেন এ কমিটিতে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন