বিজ্ঞাপন

রিয়ালের কষ্টার্জিত জয়, পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত জয় সিটির

September 15, 2022 | 2:57 am

স্পোর্টস ডেস্ক

ঘরের মাঠ এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়নস লিগে আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে জিততে ঘাম ছুটেছে রিয়াল মাদ্রিদের। তবে শেষ পর্যন্ত ফেদেরিখো ভালভার্দে এবং মার্কো অ্যাসেন্সিওর গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে শিরোপাধারীরা। অন্যদিকে নিজেদের মাঠ ইতিহাদে জুড বেলিংহামের গোলে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত জন স্টোন্স এবং এর্লিং হালান্ডের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটি।

বিজ্ঞাপন

রিয়ালের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে আরবি লাইপজিগ। বারবার ভীতি জাগাচ্ছিল রিয়ালের রক্ষণে। ম্যাচের পাঁচ মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণ থেকে এনকুঙ্কুকে খুঁজে পায় লাইপজিগ। তবে তার শট রুখে দেন থিবো কোর্তোয়া। কিছুক্ষণ পর দুর্দান্ত এক আক্রমণে বল নিয়ে রিয়ালের ডি বক্সে ঢুকে পড়েন এনকুঙ্কু। কিন্তু রিয়ালের ডিফেন্ডারের সঙ্গে পেরে ওঠেননি এতেই পড়ে যান তিনি। পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি তা খারিজ করে দেন।

প্রথমার্ধের ৩০ মিনিট পার হতেই দুর্দান্ত এক থ্রু বলে টিমো ভার্নারকে খুঁজে পায় লাইপজিগ। বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকেও পড়েন তিনি এরপর বাঁ দিক থেকে ক্রস বাড়ান গোলমুখে তবে দূরের পোস্টে থাকা এনকুঙ্কু বলে পা ছোঁয়াতে না পারলে সে যাত্রায় রক্ষা পায় রিয়াল। এতেই প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যতে।

বিজ্ঞাপন

তবে দ্বিতীয়ার্ধের খেলার ধরনে পরিবর্তন আনেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলোত্তি। রক্ষণ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকে আক্রমণাত্মক খেলা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ বাড়লেও গোলের দেখা মিলছিল না। অবশেষে ম্যাচের ৮০তম মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের অ্যাসিস্ট থেকে ফেদে ভালভার্দে গোল করলে লিড নেয় রিয়াল। বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে আক্রমণে ওঠেন ভিনিসিয়াস, লাইপজিগের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান দিকে থাকা ভালভার্দের উদ্দেশ্যে বল বাড়ান। আর বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ ভালভার্দের আর রিয়াল এগিয়ে ১-০’তে।

এরপর ম্যাচের শেষ দিকে এসে টনি ক্রুসের অ্যাসিস্ট থেকে মার্কো অ্যাসেন্সিওর দুর্দান্ত এক গোলে রিয়াল ব্যবধান বাড়ায়। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লস ব্ল্যাংকোসরা।

এদিকে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধটা ম্যাড়ম্যাড়ে কাটিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথমার্ধে দুই দলই তেমন আক্রমণে ওঠেনি। কেবল বল দখলে রেখে নিজেদের গুছিয়েছে দুই দলই। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সিটির রক্ষণে আঘাত হানে ডর্টমুন্ড। ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে মার্কো রয়েসের দুর্দান্ত এক ক্রস আসে ডি বক্সে। আর সেখানে বল পেয়ে এডারসনের মাথার ওপর দিয়ে ফ্লিক করে লক্ষ্যভেদ করেন জুড বেলিংহাম। সিটির মাঠে লিড নেয় ডর্টমুন্ড।

বিজ্ঞাপন

শঙ্কা জেগেছিল তবে কি ঘরের মাঠে হেরেই যাবে হালান্ড-ডি ব্রুইনরা? না শেষ পর্যন্ত সেটা ঘটেনি। ম্যাচের শেষ দিকে এসে ডর্টমুন্ডকে চেপে ধরে দুই গোল আদায় করে নেয় সিটিজেনরা। ৮০তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ডি ব্রুইনের দুর্দান্ত এক ক্রস লাফিয়ে উঠে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান ইংলিশ ডিফেন্ডার জন স্টোন্স। এর মিনিটে চারেক পরে ডর্টমুন্ডকে থমকে দেন তাদেরই সাবেক খেলোয়াড় এর্লিং হালান্ড।

৮৪তম মিনিটে জাও ক্যান্সেলোর বাঁ দিক থেকে আসা ক্রস ডি বক্সের ভেতর দুই ডিফেন্ডারের মধ্য থেকে পা বাড়িয়ে জালে জড়ান হালান্ড। এতেই ম্যাচে এগিয়ে যায় সিটিজেনরা। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানচেস্টার সিটি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন