আন্তঃব্যাংকে ডলারের গড় ক্রয়মূল্য বেড়েছে ৪ টাকা ২৩ পয়সা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: একদিনের ব্যবধানে দেশের আন্তঃব্যাংকগুলোতে ডলারের গড় ক্রয়মূল্য বেড়েছে ৪ টাকা ২৩ পয়সা। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ডলারের গড় ক্রয়মূল্য ১০২ টাকা ৩৭ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬ টাকা ৬০ পয়সা। তবে ডলারের গড় ক্রয়মূল্য বাড়লেও বিক্রয় আগের দামেই রয়ে গেছে। অর্থাৎ বুধবারের মতো বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ডলার বিক্রি হচ্ছে ১০৬ টাকা ৯০ পয়সায়।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নতুন আন্তঃব্যাংক রেট বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার ব্যাংকে ডলারের গড় ক্রয়মূল্য ছিল ১০১ টাকা ৬৭ পয়সা, বুধবার তা বেড়ে হয় ১০২ টাকা ৩৭ পয়সা। বৃহস্পতিবার ডলারের গড় ক্রয়মূল্য ৪ টাকা ২৩ পয়সা বেড়ে হয়েছে ১০৬ টাকা ৬০ পয়সা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলো যে দামে ডলার কেনাবেচা করবে, সেটিই হবে আন্তঃব্যাংক লেনদেন। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই দামে ডলার বিক্রি করবে না।

এদিকে, বৃহস্পতিবারও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) নির্ধারিত রেট অনুযায়ী বুধবারের মতো আন্তঃব্যাংক ডলার লেনদেন হয়েছে ১০৬ টাকা ৯০ পয়সায়। এটি বাফেদা নির্ধারিত রেট।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বাফেদার নির্ধারিত দরে ব্যাংকগুলো নিজেরা লেনদেন করবে এবং সেটি আন্তঃব্যাংক লেনদেন হিসেবে বিবেচিত হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগের মতো প্রতিদিন ডলার বিক্রি করবে না, তবে প্রয়োজন হলে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করবে। কিন্তু আন্তঃব্যাংকের রেট বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রির রেট হবে না।

গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ডলারের বিক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছিল ৯৫ টাকা। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ডলারের দাম এক টাকা বাড়িয়ে ৯৬ টাকা করা হয়। মঙ্গলবার ওয়েবসাইটে ডলারের বিক্রয়মূল্য দেখানো হয় ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা, বুধবার তা আরও বেড়ে ১০৬ টাকা ৯০ পয়সায় উন্নীত হয়। বৃহস্পতিবার ডলারের আন্তঃব্যাংক ডলারের লেনদেন না বাড়ায় আগের দিনের মতোই এদিনও ১০৬ টাকা ৯০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রেমিট্যান্স ও রফতানি বিলে অভিন্ন রেট নির্ধারণ করে দেয় অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা। নির্ধারিত রেট অনুযায়ী দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন থেকে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা হিসেবে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) সংগ্রহ করবে।

অন্যদিকে, রফতানি বিল নগদায়ন করা হবে প্রতি ডলার ৯৯ টাকায়। এতে করে রেমিট্যান্স আহরণ ও রফতানি বিল নগদায়নে ব্যাংকগুলোর গড় খরচ হবে ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে এক টাকা যোগ করে আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রি করবে ব্যাংকগুলো। ফলে এলসি সেটেলমেন্টের জন্য ডলার বিক্রি হবে ১০৪ টাকা ৫০ পয়সায়।

সারাবাংলা/জিএস/এমও