বিজ্ঞাপন

‘শিক্ষাখাত ধ্বংস, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি চর দখলের মতো’

September 17, 2022 | 10:18 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

চট্টগ্রাম ব্যুরো: শিক্ষা দিবসে চট্টগ্রাম নগরীতে ছাত্র সমাবেশ করেছে জেলা ছাত্র ইউনিয়ন। এতে শিক্ষার সাম্প্রদায়িকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর সিনেমা প্যালেস মোড়ে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি অধ্যাপক কানাই লাল দাশ। সমাবেশের আগে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয় এবং মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে কানাই লাল দাশ বলেন, ‘বাষট্টি সালে পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে যে দুর্বার ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল, আজ ৬০ বছর পরও সেই আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। এখন আর কোনো স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় নেই, সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গেছে। এখানে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয় সরকারি দলের বিবেচনায়। শিক্ষাখাতকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। ক্যাম্পাসগুলোর পরিস্থিতি এখন চর দখলের মতো। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন চায় না ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ধারার রাজনৈতিক চর্চা হোক।’

‘দিনে দিনে এই সরকার শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তর করছে। পাঠ্যপুস্তক থেকে প্রগতিশীল লেখকদের লেখা বাদ দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়েছে। এখান থেকে ফিরে আসার পথ কঠিন। গণআন্দোলন ছাড়া মুক্তির পথ নেই। শিক্ষার সাম্প্রদায়িকীকরণ এবং শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা বলেন, ‘বাষট্টিতে যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই এখন সরকার পরিচালনায় যুক্ত আছেন। তাদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, আপনার কেন শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করছেন ? আমরা ছাত্র ইউনিয়ন বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনে যেমনভাবে রাজপথে লড়াই করেছিলাম একটি শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষানীতির জন্য, আজও লড়াই করে যাচ্ছি। একই দাবিতে। সেদিনের সেই শহিদদের রক্তে রঞ্জিত রাজপথ আমাদের এখনো পথ দেখায়। সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হল দখল করে, গণরুম, গেস্টরুমের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।’

‘আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেও আমাদের সংগ্রাম জারি রেখেছি। যতদিন পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের সংগ্রাম অব্যহত রাখব। শহিদ মোস্তফা, ওয়াজিউল্লাহ, বাবুল, সুন্দর আলীর রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না।’

চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এ্যানি সেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য গৌরচাঁদ ঠাকুর অপু, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, নগরের সভাপতি সুপ্রিয় তঞ্চঙ্গ্যা, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের শিক্ষা দিবস পালন কমিটির সদস্য সচিব শুভ দেবনাথ, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক টিকলু দে, কোতোয়ালী থানার সভাপতি অয়ন সেনগুপ্ত, হালিশহর থানার সভাপতি মিজানুর রহমান আরিফ, পাহাড়তলী থানার সভাপতি ডেনি বিশ্বাস, চট্টগ্রাম কলেজের সংগঠক আশিক এলাহী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দফতর সম্পাদক ইফাজ উদ্দীন ইমু।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন