বিজ্ঞাপন

‘সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে’

September 18, 2022 | 8:17 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। পল্লবীসহ সারাদেশে দলের কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি এ সমাবেশ আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে এই সরকার একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ যখন তাদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করছে, সংগ্রাম করছে তখন তারা সন্ত্রাস, হত্যা, সভা পণ্ড করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। যাতে করে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকতে সোজা হয়, সহজ হয়।’

‘এই যে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু হয়েছে, এটি সাধারণ মানু্ষের চাল-ডাল-তেলের দাম কমানোর জন্য, দুর্নীতি নির্মূল করার জন্য, ভোটের অধিকারকে রক্ষার করার জন্য। আর এই আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য আওয়ামী লীগের সরকার তাদের পেটয়া বাহিনী নামিয়ে দিয়েছে। ওরা হত্যা করেছে ভোলা ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে ও নারায়গঞ্জে যুবদলের নেতাকে। গতকাল আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানকে আহত করেছে, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুকে আঘাত করেছে, আমাদের নারী নেত্রীদেরও রেহাই দেয়নি, তাদেরও তারা আঘাত করেছে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আজকে বিভিন্ন জায়গায় আপনারা (ক্ষমতাসীনরা) সন্ত্রাস করছেন এবং সভা-সমাবেশ করতে অনুমতি দিচ্ছেন না। আমি বলতে চাই, এসব করবেন না। এভাবে বাংলাদেশের মানুষকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, নিপীড়ন-দমন করে বাংলাদেশের মানুষ কখনো দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আপনাদেরকে পরাজিত করা হবে।’

সরকারের কোমড় সোজা নাই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মিয়ানমার বোমা মেরে শেষ করে দিচ্ছে। তারা সীমান্তে বোমা মারছে, আমাদের এখানে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের তারা গুলি করছে। সরকার নীরব। নীরব কেনো? আসলে এদের (সরকার) কোমড় সোজা নাই। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলে তারা বুক ফুলিয়ে মিয়ানমারের বোমা নিক্ষেপের প্রতিবাদ করতে পারছে না, বিশ্ব জনমতকে একখানে আনতে পারছে না।’

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে পদত্যাগ করুন, পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। সংসদ বিলুপ্ত করুন এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন পার্লামেন্ট ও সরকার তৈরি করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আহবান জানাব রাজনৈতিক দলগুলোকে, সমস্ত গণতন্ত্রকামী মানুষকে এবং দেশপ্রেমিক মানুষকে আমরা একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ভয়াবহ দানবীয় শক্তি এই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘মোমবাতি প্রজ্জ্বালনের নীরব কর্মসূচিও সরকারের সহ্য হলো না। তাহলে কী দাঁড়াল? এদেশের মানুষ কথা বলতে পারবে না। আপনারা নিপীড়ন নির্যাতন করে যাবেন আর আমরা সহ্য করতে থাকব। আমি বলতে চাই এটা আর হবে না। যথেষ্ট হয়েছে। সারাদেশের জনগণ ফুঁসে উঠেছে, জনগণ আজ রাজপথে নেমে এসেছে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, মশিউর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, আজিজুল বারী হেলাল, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কামরুজ্জামান রতন, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী, সাইফুল আলম নিরব, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজীব আহসান, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্র দলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন