বিজ্ঞাপন

গণফোরাম থেকে ড. কামালকে অব্যাহতি, মিজানুর বহিষ্কার

September 20, 2022 | 1:05 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মোস্তফা মহসিন মন্টু নেতৃত্বাধীন গণফোরাম থেকে ড. কামাল হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দলের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া মিজানুর রহমানকে সভাপতি পরিষদের সদস্যপদসহ সব ধরণের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ড. কামাল হোসেন এই দলের প্রধান উপদেষ্টা এবং মিজানুর রহমান সভাপতি পরিষদের সদস্য ছিলেন।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের অব্যাহতি এবং বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। মোস্তফা মহসিন মন্টু নেতৃত্বাধীন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরি লিখিত বক্তব্যে এসব কথা জানান।

ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে আপনারা দীর্ঘদিন রাজনীতি করছেন। তিনি কি ব্যাড পলিটিক্স করছেন না গুড পলিটিক্স করছেন— সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আবু সাঈদ ড. কামালের রাজনীতি জীবনের অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর সহচরের ব্যাখা দিয়ে বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন কখনোই জনপ্রিয় ছিলেন না। বঙ্গবন্ধুর কারণে তিনি ড. কামাল হোসেন। তিনি চেম্বার পলিটিক্স করে থাকেন। শুধু তাই নয় তিনি নির্বাচন কমিশনের সাথেও প্রতারণা করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ড. কামাল হোসেন ও মো. মিজানুর রহমান গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণফোরামের একটি কমিটি ঘোষণা করেন। ওই কমিটি সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও অগণতান্ত্রিক। কারণ ১৯ সালের ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলে ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও ড. রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে মাত্র ১ বছরের জন্য ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি গঠন করেন।

আমি গণফোরামের সভাপতি পদে থাকতে চাইনি: ড. কামাল হোসেন

কিন্তু ওই কাউন্সিল অনুষ্ঠানের পর দীর্ঘ আড়াাই বছর দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, স্থায়ী কমিটি বা সম্পাদক পরিষদের কোন সভা ডাকা হয়নি ফলে দলের মধ্যে নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়। ফলে গণফোরামের অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। এই কারণে গত ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ড. কামাল হোসেনের অনুমতি ও সমর্থন নিয়ে অত্যন্ত সফলভাবে গণফোরামের ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই কাউন্সিলে প্রায় ৩ হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেটস উপস্থিতি ছিলেন। তাদের সর্বসম্মতিক্রমে গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি ও সাবেক নির্বাহী সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫৭ সদস্য বিশিষ্ট গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হয়।

এই কাউন্সিল অধিবেশনের আগে গণফোরামের সিনিয়র নেতা ড. কামাল হোসেন কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থিত থেকে সভাপতিত্ব করার ইচ্ছা পোষণ করেন। কিন্তু তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থিত হতে অপরাগতা প্রকাশ করেন এবং সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। ওই সময় ড. কামাল হোসেন নিজে গণফোরামের উপদেষ্টা থাকার জন্য সম্মতি দেন এবং তিনি লিখিতভাবে কাউন্সিলের সফলতা কামনা করেন এবং কাউন্সিলে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও বিস্ময়ের দেখলাম যে, সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কহীন, দল থেকে পদত্যাগকারী, বিভেদ সৃষ্টিকারী ও নিষ্ক্রিয় কিছু ব্যক্তি নিয়ে গণফোরাম নাম দিয়ে ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও মো. মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা গঠনতন্ত্র বিরোধী এবং প্রতারণার শামিল।’

এর আগে, গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের (মোকাব্বির খাঁন) কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও ডা. মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন