বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গা নৃশংসতা উদঘাটনে কক্সবাজারে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র

April 26, 2018 | 8:12 am

।। এমএকে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট। । 

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের চালানো গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ২০ সদস্যদের একটি দল গত মার্চ থেকে কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে। এরই মধ্যে প্রথম ধাপে ১০২৫ জন রোহিঙ্গার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ধাপের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। আগামী মে অথবা জুন মাসে সংগ্রহ করা তথ্যগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী ফোরামে পাঠানো হবে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিগত ২০০৪ সালে সুদানে এরকম অমানবিক এবং নৃশংস কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তখন যুক্তরাষ্ট্র ওই ঘটনার নৃশংসতা নির্ণয়ে ফরেনসিক তদন্ত করে। সুডানের ওই ঘটনার তদন্তকে মডেল হিসেবে সামনে রেখেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের চালানো গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র।

তদন্তের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ২০ সদস্যদের একটি দল তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে। সুডানের ঘটনায় তদন্ত দলে কাজ করেছিল এমন প্রতিনিধিও এই তদন্ত দলে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কক্সবাজারের শিবিরগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা ওয়াশিংটনে পাঠানো হবে। সেখানে তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। সেই ফলাফল স্টেট ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হবে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

ট্রাম্প প্রশাসন এই ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে কী ব্যবস্থা নিবে তা এখনো পরিস্কার নয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই ফলাফল জন-সম্মুখে প্রকাশ করা হতে পারে, আবার অপ্রকাশিতও থাকতে পারে। এমনও হতে পারে, এই ফলাফলকে ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পদেক্ষপ নেওয়ার জন্য আহবান জানান হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য সংগ্রহকারী কর্মীরা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের কোথায় ছিল, তাদের ওপর কী হয়েছে, কীভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, নির্যাতনের সময় কী কী জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে, নির্যাতনের সময় কে কে উপস্থিত ছিল, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা জী ছিল, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর ভূমিকা কী ছিল ইত্যাদি তথ্য বিস্তাারিকভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের আগস্ট থেকে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর নির্যাতন শুরু হলে সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বর্তমানে কক্সবাজারসহ দেশের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।

সারাবাংলা/জেআইএল/টিএম

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন