বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, ভাংচুর

September 20, 2022 | 6:32 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। এ সময় কলেজের একটি কক্ষে ব্যাপক ভাংচুরও চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- গণিত চতুর্থ বর্ষের সাফায়েত হোসেন রাজু, এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের হামিম রাফসান, ইসলামের ইতিহাস দ্বিতীয় বর্ষের জাহেদুল অভি, স্নাতক (পাস) তৃতীয় বর্ষের ওয়াহিদুর রহমান সুজন, ইতিহাস প্রথম বর্ষের আলিফ জাবেদ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র জিয়াউদ্দিন আরমান, ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র নাঈম আসিফ ও চতুর্থ বর্ষের মোহাম্মদ মনির।

কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলেজে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মাহমুদুল করিম ও সুভাষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে দু’গ্রুপে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল।

বিজ্ঞাপন

এর জের ধরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মূল ভবনের সামনে সুভাষ মল্লিকের অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মী জিয়াউদ্দিন আরমানকে মারধর করা হয়। এরপর ছাত্রলীগের দু’পক্ষে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে সংঘাতের পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘জিয়াউদ্দিন আরমানকে মারধরের সময় সে নিজেকে রক্ষা করতে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের একটি কক্ষে আশ্রয় নেয়। সেখানে ঢুকেও তাকে মারধর করা হয় এবং কক্ষটি ভাংচুর করা হয়।’

বিজ্ঞাপন

কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ সুভাষ মল্লিকের। জানতে চাইলে মাহমুদুল করিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘চকবাজার এলাকার স্থানীয় হিসেবে প্রভাব দেখিয়ে কিছু বহিরাগত ও সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে। আমরা এর প্রতিবাদ করায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে।’

উল্লেখ্য, মাহমুদুল করিম সাবেক যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আর সুভাষ মল্লিক চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুর কাদের সারাবাংলাকে বলেন, ‘সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা কলেজে যাই। আমরা তাদের বের করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।’

এদিকে, সংঘর্ষে আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন