বিজ্ঞাপন

‘সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র নয়’ এই নীতিতেই থাকছে বিজিবি-বিএসএফ

April 26, 2018 | 7:37 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সীমান্তে হত্যার সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে প্রাণঘাতী নয় (নন লিথ্যাল) এমন অস্ত্রের ব্যবহার অব্যাহত রাখতে একমত হয়েছে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৪৬তম সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবির সদর দফতরে সম্মেলন পরবর্তী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম ও বিএসএফ মহাপরিচালক কে কে শর্মা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করার পর সীমান্তে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে কেউ মারা যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজিবি ডিজি মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, ‘সীমান্তে প্রাণঘাতি কোনো অস্ত্রের ব্যবহার নয়, আমরা উভয় দেশের আলোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। সীমান্তে হত্যা অনেকাংশে কমে এসেছে। সীমান্তে কোন প্রকার প্রাণনাশ গ্রহণযোগ্য নয়। এ কারণে বিএসএফ নন-লিথ্যাল উইপন (প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র) ব্যবহার করছে। তবে এর জন্য বিএসএফ সদস্যরা অপরাধীদের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। বিজিবি সদস্যরাও অনেক সময় সীমান্তে অপরাধীদের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। তাই অনেক সময় লিথ্যাল (প্রাণঘাতী) অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

বিএসএফ ডিজি কে কে শর্মা বলেন, ‘সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। সাধারণত মধ্য রাতে সীমান্তে অপরাধীদের কার্যক্রম হয়। তাই এগুলো নজরে রয়েছে। সীমান্তে হত্যা বন্ধে নন-লিথ্যাল উইপন ব্যবহার করা হচ্ছে। অপরাধীরা আমাদের ওপর আক্রমণ করছে। তবুও আমরা নন-লিথ্যাল উইপন ব্যবহার করছি। সীমান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক এটা আমরাও চাই না। এ বছর সীমান্তে একটিও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। যে তিনজন মারা গিয়েছেন, তারা সকলেই ভারতীয় নাগরিক। আসলে দূর থেকে বোঝা যায় যায় না কে কোন দেশের?’

বিজ্ঞাপন

সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেনসিডিল প্রবেশের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ ডিজি বলেন, ‘ফেনসিডিল ভারতে নিষিদ্ধ। অবৈধভাবে ফেনসিডিল উৎপাদন হয়। এ বিষয়ে আমাদের নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত বছর প্রায় ৫ লাখ ৭০ হাজার বোতল ফেনসিডিলসহ বিপুল পরিমাণ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। বাংলাদেশে যে কোন মাদক প্রবেশ ঠেকাতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। আমরাও চাই না যে, ভারতের সীমান্ত দিয়ে মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে প্রবেশ করুক।’

ফেলানী হত্যার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, এ বিষয়ে কোনো কথা না বলাই উত্তম।’

গত ২৩ এপ্রিল শুরু হওয়া এই সম্মেলনে বিএসএফ ডিজি কে কে শর্মার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং বিজিবি ডিজি মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেন। শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা আইসিপিতে যৌথভাবে জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনি উদ্বোধন হবে এবং একই দিন ভারতীয় প্রতিনিধিদল দেশে ফিরে যাবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসআর/এমআইএস/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন