বিজ্ঞাপন

বিআরটি প্রকল্প গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে: সড়কমন্ত্রী

October 16, 2022 | 7:58 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর একটি। রাজধানীর যানজট কমাতে ২০১২ সালে নেওয়া হয় এ প্রকল্প। কিন্তু বারবার নকশা পরিবর্তন, দুর্ঘটনা ও নানা জটিলতায় তা গত দশ বছরেও কাজ শেষ করতে পারেনি সেতু বিভাগ। এখনও কাজের কিছু অংশ বন্ধ রয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রকল্পটি আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী এপ্রিলে প্রকল্পের কাজ শেষ করে উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিং এ সব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘বিআরটি এখন গলার কাঁটা। যখন ৭৯ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলো ঠিক তখন একাংশের কাজ বন্ধ করে দিতে হলো গার্ডার দুর্ঘটনার কারণে।’

ওই ঘটনায় কি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু কাজ শেষের দিকে। ২০ শতাংশ বাকি এখন। সে জন্য ওই ঠিকাদারের মাধ্যমেই কাজটা শেষ করবো। তবে এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আর কাজ করার সুযোগ পাবে না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন আমরা উদ্বোধন করতে চাই। আমাদের চেষ্টার কমতি নেই। এ প্রকল্পে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। এডিবি তো না বুঝে অর্থ দিচ্ছে না।’

নানা প্রকল্পের চাপে রাজধানীতে যানজট তীব্র হচ্ছে এর থেকে উপায় কী? এমন প্রশ্নের জবাবে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীতে যানজটের সমস্যা আছে। দূর করার চেষ্টাও আছে আমাদের। মেট্রোরেল চালু হলে কিছুটা সমাধান হবে। জাপানিরা যে কথা দেয় তারা নির্দিষ্ট সময় শেষ করে। তার প্রমাণ কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী সেতুতে ১১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে জাপান। যানজট কবে কমতে পারে তা বলা যাবে না, তবে কমবে। ১৩ বছর আগে এ শহরের কি চেহারা আর এখন কি? কতটা বদলেছে। আরেকটু ধৈর্য্য ধরতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজধানীর প্রবেশ পথে প্রচন্ড যানজট। এটা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেখানে ফোকাস ছিল গাজিপুর। আমি বলেছি যেকোনো মূল্যে গাজিপুরের যানজট কমাতে হবে। বিআরটির কাজ কোথাও কোথাও এখনও বন্ধ। বলেছি, সমস্যা সমাধান করে তারপর কাজ শুরু করতে। এদিকে গত আগস্ট পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৮১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতেই কাজ বাকি রেখে উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত উড়ালপথের একাংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।’

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘মানুষকে আর দুর্ভোগ দিতে চাই না। ওই অংশটা একেবারেই সহ্যের বাইরে চলে গেছে। এরইমধ্যে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। আমরা হয়তো আগামী সপ্তাহেই খুলে দেব।’

সারাবাংলা/জেআর/ইআ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন