বিজ্ঞাপন

‘মিয়ানমারের অসহযোগিতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে’

November 3, 2022 | 11:01 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে ৪ হাজার ২৪৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৯৪ শতাংশই ভারতের সঙ্গে। দেশটির সঙ্গে নানা আলোচনার পর এখন সেখান থেকে মাদক প্রবেশ কমেছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার কথা দিয়ে কথা রাখে না। যে কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম-বিএসআরএফ’র এক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে ক্ষতিকর মাদক আসে মিয়ানমার থেকে। ভারত থেকে আসে ফেনসিডিল ও অন্যান্য মাদক। ভারত সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে কাজ চলছে। কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে পারা যাচ্ছে না। তাদের সঙ্গে আলোচনা করি, কিন্তু তারা সহযোগিতা করে না। সেজন্য এ দেশের সঙ্গে শতভাগ সফল হতে পারছি না।’

বিএসআরএফ সংলাপে এসে নিজ মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করেন তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ বলেছিলেন, বদলে দেবেন বাংলাদেশ। আজ সেটাই হচ্ছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ এর কারণে সে লক্ষ্য থেকে কিছুটা হয়তো পিছিয়ে রয়েছি। কিন্তু চোখ বন্ধ করলে দেখি, আমরা কোথা থেকে কোথায় এসেছি। তিনি দুঃসাহসিকভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সরকারকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করছে। টেকসই শান্তির জন্য টেকসই নিরাপত্তা দরকার, সেজন্য কাজ করছি। সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে ঢেলে সাজাচ্ছি। বিজিবি, কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করছি। আনসারে জনবল বাড়াচ্ছি। উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে টেকসই নিরাপত্তা দরকার।’

বিজ্ঞাপন

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘২০১৩/১৪ সালে জঙ্গিদের উত্থান ঘটেছিল। বিশ্বের অনেক দেশেই জঙ্গি তৎপরতা হয়েছে। আমাদের দেশেও জঙ্গি ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জঙ্গি দমনে সফল হয়েছি। চরমপন্থিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পাসপোর্টে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। এখন আমরা এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্ট দিচ্ছি। আমরা ই- ভিসাও দিতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে একটা চুক্তি করেছি। ই-গেট চালু হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন