বিজ্ঞাপন

‘বৈশ্বিক সংকট নিরসনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকেই যেতে হবে’

November 5, 2022 | 10:03 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জ্বালানি সংকট আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকলে বিশ্ববাসীকে এই সংকট দেখতে হতো না। বর্তমানে বিশ্বে মাত্র ৩.৭১ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার হয়।

বিজ্ঞাপন

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার এ মন্তব্য করেছেন।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর আয়োজনে এবং পরিবেশ উদ্যোগ ও সেভ আওয়ার সি-এর সার্বিক সহযোগিতায় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর কনফারেন্স রুমে “ডায়লগ উইথ মিডিয়া রোড টু কোপ২৭: দ্য ইমপরট্যান্স অব ট্রানজিশন টু ক্লিন এনার্জি” শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত কর্মশালায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইন্সটিউট অব বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী। এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মারুফা গুলাশান আরা, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদা পারভীন; প্রভাষক মাহমুদা ইসলাম এবং প্রভাষক হুমায়ুন কবির।

বিজ্ঞাপন

ড. কামরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ১৩টি স্থানে বায়ু বিদ্যুতের প্রকল্প চলমান রয়েছে। পাশাপাশি সৌরশক্তিসহ বায়োগ্যাসের মাধ্যম নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। যার মাধ্যমে ২০৩০ ও ২০৪১ সালে জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব। সচেতনতা ও আইনি বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে সবুজ জ্বালানিতে প্রবেশ করতে পারবে বাংলাদেশ।

বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিয়ে জোরালো আলোচনা হবে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

প্রেস ইন্সটিউট অব বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, পরিবেশ নিয়ে কর্মশালার উদ্যোগ নিয়েও করতে পারিনি। আপনাদের সহযোগিতা থাকলে নিয়মিত এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে পিআইবি। ইতোমধ্যে আমরা উপকূলীয় ও হাওর সাংবাদিকতা নিয়ে কর্মশালা সম্পন্ন করেছি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে অনেক বেশি কাজের সুযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী বলেন, পরিবেশ বিষয়ক গবেষণার টার্মগুলো সবার বোধগম্য নয়। এগুলো সাংবাদিকরাই সবার জন্য বোধগম্য করে তুলতে পারে যা উন্নয়নে সহায়ক হবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মারুফা গুলাশান আরা বলেন, ক্যাপসের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়, এই ধরনের কর্মশালাগুলা সাংবাদিকদের কাজের জন্য সহায়ক। কপ২৭ এর মতো পরিবেশগত সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাজ করা উচিত।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, মার্সেড, যুক্তরাষ্ট্রের পিএইচডি গবেষক ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো: হুমায়ুন কবির বলেন, বর্তমান পৃথিবীর ৭০ ভাগ গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হয় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। তাই, জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাস বা প্রশমিত করার জন্য প্রথম পদক্ষেপ হওয়া দরকার জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর।

তিনি আরও বলেন, কপ-২৭ পৃথিবীব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরএফ/আইই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন