বিজ্ঞাপন

‘লড়াই’-কে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ ফখরুলের

November 7, 2022 | 12:45 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপির যে ‘লড়াই’ সেই ‘লড়াই’-কে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে ‘বিপ্লব ও সংহত দিবস’ উপলক্ষে চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এ শপথের কথা জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর বলেন, ‘১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহী-জনতা তৎকালীন মেজার জিয়াউর রহমান— যিনি আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, তাকে মুক্ত করে নতুনভাবে বাংলাদেশর স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে এনেছিলেন। এই জন্যই এ দিনটি সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছিল, তাকে সংহত করবার দিন এই ৭ই নভেম্বর।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শত্রুদের পরাজিত করে সেদিন দেশপ্রেমি সৈনিক এবং জনতা পুনঃরায় স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জিবীত হয়ে দেশকে রক্ষা করার শপথ নিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীকালে সেই ভয়াবহ একদলীয় শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। একই সঙ্গে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের যে দর্শন, সেই দর্শন গোটা জাতি গ্রহণ করেছে।’

বিজ্ঞাপন

‘তারই ফলশ্রুতিতে এখনো আমরা হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার জন্য, হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়ার জন্য গোটা বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করছি। আমরা লড়াই করছি গণতন্ত্রের মাতা, আপসহীন নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবার জন্য। আমরা লড়াই করছি আমাদের নেতা-যিনি সুদূর লন্ডন থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনবার জন্য’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ২৫ লাখ মিথ্যা মামলায় যাদেরকে আসামি করা হয়েছে, তাদেরকে মুক্ত করবার জন্য, সামগ্রীক অর্থে গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার জন্য, ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, আমার বেঁচে থাকার অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, একটা মুক্ত সমাজ, একটা মুক্ত ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির জন্য আমরা লড়াই করছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমাদের শপথ হচ্ছে- এই লড়াইকে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাব। আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করব, দেশনেত্রীকে মুক্ত করব, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনব এবং একইভাবে আমাদের দেশকে বিশ্বের মানচিত্রে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব।’

বিজ্ঞাপন

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আমিনুল হক, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন